জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে নিজ ঘর থেকে জোসনা কুণ্ডু নামে ৬৫ উর্দ্ধো বয়সী এক নারী মাদক বিক্রেতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সন্দেহে তার ছোট ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে স্থানীয়দের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সেটি জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে নিহতের বড় ছেলে লিখন কুণ্ডু বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহত জোসনা জয়পুরহাট শহরের হরিবাসর এলাকার মৃত হরি কুণ্ডুর স্ত্রী। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সন্তানের জননী ছিলেন।
জানা গেছে, আট বছর আগে স্বামীর মৃতুর পর ছোট ছেলে নিশি কুণ্ডকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন জোসনা কুণ্ডু। স্বামীর রেখে যাওয়া মদ পানের লাইসেন্স নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বাংলা মদ বিক্রি করে সংসার চালাতেন। পরে শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা তার ঘরে গিয়ে দেখতে পান মরদেহ মেঝেতে পড়ে আছে। পরে খবর পেয়ে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার, সিআইডি ও ডিবি সদস্যরা ঘটনস্থলে গিয়ে ক্রাইম সিন প্রটেক্ট করেন।
নিহত জোসনা কুণ্ডুর নাতনী পম্পি কুণ্ডু বলেন, সর্বশেষ গত বুধবার (২৪ আগস্ট) নানী আমার বাসায় এসেছিলেন। পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিনি আর ফোন রিসিভ করছিলেন না। ফোনে না পেয়ে নানীর বাসায় এসে দেখি সামনে থেকে দরজা আটকানো। এর পর পেঁছনের দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি মেঝেতে তার মরদেহ পড়ে আছে।
স্থানীয় বাসন্দিা দুলাল সাহা ও দিলিপ শর্মা জানান, নিহতের স্বামী হরি কুণ্ডুর একটি মাদক পান করার লাইসেন্স ছিল। তিনি বেঁচে থাকা অবস্থায় মাদক বিক্রি করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী জোসনা কুণ্ডু মাদক বিক্রি শুরু করেন। মাদক নিতে এসেই কেউ হয়তো তাকে হত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জয়পুরহাটের নবাগত পুলিশ সুপার মো. নূরে আলম বাংলানিউজকে বলেন, জোসনাকে একটি বটি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কিছু দিন আগে একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসা তার ছোট ছেলে নিশি কুণ্ডুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২২
এফআর