ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদকবিক্রেতাদের সঙ্গে র‌্যাব-পুলিশের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
মাদকবিক্রেতাদের সঙ্গে র‌্যাব-পুলিশের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১২ প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযানকে কেন্দ্র করে র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে মাদকবিক্রেতাদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধ ও পথচারীসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

এ সময় বেশ কয়েকজন মাদকবিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে রাত ১২টা পর্যন্ত।

স্থানীয়দের মধ্যে নাম না প্রকাশ শর্তে বেশ কয়েকজন বলেন, চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় অর্ধ লাখের বেশি মানুষের বসবাস। এখানে কিছু সংখ্যক অপরাধীর জন্য সবার বদনাম হচ্ছে। রাজু আহাম্মেদ রাজা নামে একজন মাদক ডিলার রয়েছে এখানে। তাকে বানানো হয়েছে চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার মাদক নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক। এরাই এলাকায় সব ধরনের অপরাধ করে থাকে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রটি অপরাধের রাজ্যে হিসেবে পরিচিত। এখানে মাদকবিক্রিতা, অস্ত্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণির অপরাধীর বসবাস। আর অপরাধীদের ভয়ে এলাকার নিরীহ মানুষ অসহায়ের মত থাকেন। সিটি শাহিন, রাজাসহ বেশ কয়েকটি বাহিনীর সদস্যরা পাইকারী ও খুচরা মাদক বিক্রিসহ নানা অপরাধ করছেন এখানে।

তারা জানায়, রাত ৯টার দিকে মাদকবিরোধী অভিযান ও মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতার করতে র‌্যাব-পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এ (চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র) এলাকায়। অভিযানের সময় স্থানীয় নাদের বক্সের ছেলে ও ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুর ভাই হাসান, খলিল সরদারের মেয়ে মুন্নি, মাহাবুবুর রহমানের ছেলে রাজু আহাম্মেদ রাজা ও একই এলাকার তপুসহ বেশ কয়েকজন মাদকবিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়।

এক পর্যায়ে রাজা ও সিটি শাহিন গ্রুপের সদস্যরা র‌্যাব-পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে এবং গ্রেফতারদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় র‌্যাব-পুলিশের সঙ্গে মাদকবিক্রেতাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্যে করে ককটেল ও গুলি ছোড়ে তারা।  পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সংঘর্ষে সুমন নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন তার ভাই শামিম। কোমরে গুলি লাগলেও সুমনের অবস্থা এখন আশঙ্কামুক্ত। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আহতদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, মাদক উদ্ধার অভিযানে গেলে মাদকবিক্রেতারা র‌্যাব-পুলিশের উপর হামলার চালায়। এখন আমরা বিস্তারিত তথ্য দিতে পারছিনা। বিষয়টি নিয়ে র‌্যাব কাজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
এমআরপি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।