ঢাকা: বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে ডাক অধিদপ্তর স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং ডাটাকার্ড ও বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেছে। এছাড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও আর্কাইভ ১৯৭১‘র উদ্যোগে শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ওপর ঢাকা জিপিও প্রাঙ্গণে দুইদিন ব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।
এই উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বুধবার ঢাকায় জিপিও মিলনায়তনে দশ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট ও দশ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত এবং পাঁচ টাকা মূল্যমানের ডাটা কার্ড ও বিশেষ সীলমোহর প্রকাশ করেন।
এর আগে মন্ত্রী ফিতা কেটে শেখ হাসিনা‘র বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ওপর ঢাকা জিপিও প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। ডাক ও টেলিযোগযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: খলিলুর রহমান, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফয়জুল আজিম এবং আর্কাইভ একাত্তরের কর্ণধার সাংবাদিক প্রণব সাহা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা জিপিও মিলনায়তনে এই উপলক্ষে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও তার সাড়ে আঠার বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মতো একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিক এবং একজন প্রজ্ঞাবান সরকার প্রধানের জন্মবার্ষিকী পালন করতে পেরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সাবেক ছাত্র মোস্তাফা জব্বার ইডেন কলেজের সাবেক ভিপি ও পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক ছাত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আত্ম-প্রচার বিমুখ, নিরহংকারী এবং চিরায়ত বাংলার অতি সাধারণ মানুষের জীবন যাপনে অভ্যস্ত একজন মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা হয়েও তিনি অতি সাধারণ পোশাক পরিচ্ছদ পছন্দ করতেন। অলংকার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে কখনো দেখিনি তাকে বরং টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ীতেই তাকে আমি ক্যাম্পাসে দেখেছি। সহপাঠী এবং ছাত্রলীগের নেতা কর্মী ছাড়া সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী তো দূরের কথা অনেক শিক্ষকরাও জানতেন না তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা।
একাত্তর পূর্ববর্তী রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের লড়াকু সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার বলেন, ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সময়ে কঠিন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রা শুরু করেন। তার সাড়ে ১৮ বছরের শাসনকাল বিশ্বে বাংলাদেশ আজ অগ্রগতির প্রতিটি খাতে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য উচ্চতার শিখরে অধিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আজ গর্বের সাথে বলতেই পারি আমাদের এক টাকা কিনতে পাকিস্তানের ২ টাকা ২০ পয়সা সমপরিমান মুদ্রার প্রয়োজন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী পালন দেশবাসীর জন্য খুবই আনন্দের ও গর্বের। শেখ হাসিনার হাতেই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব। তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতির এই অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেককে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এর আগে মন্ত্রী আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
এমআইএইচ