কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চার মাঝিকে (নেতা) খুনের দায় স্বীকার করে এক রোহিঙ্গা যুবকের ভিডিওবার্তা নিয়ে তোলপাড় চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ভিডিওটি নজরে আসার পর সত্যতা যাচাইয়ে কাজ করছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন)।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, একটি অস্ত্র হাতে নিয়ে এক যুবক কিছু কথা বলছেন। যেখানে তিনি রোহিঙ্গাদের ভাষায় কথা বলেন। নিজেকে মোহাম্মদ হাসিম পরিচয় দিয়ে তিনি নিজের বাবার নাম বলেন আব্দুল জব্বার। বুচিথংয়ের কোয়ইংদংয়ের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা এ যুবক ক্যাম্প ১৮-তে থাকেন।
ভিডিওতে ওই রোহিঙ্গা যুবক বলেন, ক্যাম্প ১৮-তে ২৫ যুবককে ২৫টি পিস্তল দেওয়া হয়েছে। হেড মাঝি সাহাব উদ্দিন, হেড মাঝি রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুঁইয়া, মৌলভি রফিক, কাদের, খাইরুল নামের এই ৬ জনকে এসব অস্ত্রও টাকা দিয়েছে ইসলামি সংগঠন মাহাজ।
মোহাম্মদ হাসিম আরও বলেন, অস্ত্র পাওয়া যুবকরা মিলে হেড মাঝি আজিম উদ্দিন, হেড মাঝি ছানাউল্লাহ, হেড মাঝি জাফর এবং ক্যাম্প-১৭-এর ইসমাইলকে খুন করেছে। তাদের দিয়ে এসব হত্যা করানো হয়েছে। এরপর ক্যাম্পে খুন-খারাবি বেড়ে যাওয়ায় টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তারা বুঝতে পেরেছেন এটা অন্যায়।
ভিডিওতে যুবককে বলতে শোনা যায়, আমরা আমাদের ভাইদের হত্যা করে শেষ করে দিচ্ছি! এখানে আমাদের লাভ কী হলো? আমাদের ভাইদের আমরা শেষ করছি! পুরো কউমের (জাতির) সামনে ভিডিও নিয়ে হাজির হয়েছি যে, আপনারা মা-বোনদের কাছ থেকে মাফ চাই। হাজার হাজার মাফ চাই। এরকম কাজ আর করব না, আপনাদের বলে রাখছি। এরকম খুন-খারাবি করেছি দেখলে, শরিয়তমতে যে সাজা আসবে, কবুল করে নেব।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ভিডিওতে ওই যুবক যে পরিচয় দিয়েছে তা সত্য কিনা, এর পেছনে কোনো রহস্য আছে কিনা, যাদের নাম উল্লেখ করেছে তারা কারা—এসব তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক অবস্থায় এটা বিভ্রান্তকর এবং রহস্যজনক মনে হচ্ছে। ক্যাম্পের নিরাপত্তার জন্য আমরা সব সময় সজাগ রয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২
এসবি/এমজেএফ