ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভোর হলেই সমুদ্রে নামবে ওরা

মো. নিজাম উদ্দিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
ভোর হলেই সমুদ্রে নামবে ওরা

লক্ষ্মীপুর: বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১১টা। লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন আলেকজান্ডার মাছ ঘাট।

ঘাটে নোঙর করা সারি সারি ট্রলার। রাতের অন্ধকারে লাল-নীল আলোয় ঝিকমিক করছে অর্ধশতাধিক ট্রলার।  

একটি মাছ ধরার ট্রলারের পাটাতনে একটু আবচা অন্ধকারে শুয়ে আছে জেলে সুমন মাঝি। ঘুমানোর উদ্দেশ্য তার। ভোর ৪টা পর্যন্ত ঘুমাবেন, এরপরই যাত্রা শুরু করবেন গভীর সমুদ্রের উদ্দেশ্যে মাছ শিকারে।  

একই ট্রলারে সংকীর্ণ একটি অংশে শুয়ে মোবাইল ফোনে দেখতেছেন আলমগীর ও রহিম নামে দুইজন। তারাও এ ট্রলারের জেলে।  

ট্রলারে থাকা জেলে সুমনের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ এলাকায়। ৮ বছর থেকে জেলে পেশায় আছেন তিনি। বেশিরভাগ সময় তাকে কাটাতে হয় ঘাটে ঘাটে। কখনো আবার মাঝ নদীতে। সেখানেই নাওয়াখাওয়া ও ঘুম।  

সুমন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিবারই একটানা চার থেকে পাঁচ দিন নদী বা সমুদ্রে থাকি। মাছ শিকার শেষে ঘাটে ফিরি। তারপর মাছ বিক্রি করে একরাতের জন্য ঘাটেই থাকি। এভাবেই নৌকা বা ট্রলারে কেটে যায় আমাদের জীবন।  

বলেন, টানা চারদিন ধরে নোয়াখালীর ভাসানচর এলাকায় মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার মাছঘাটে এসে মাছ বিক্রি করেছি। বাড়ি বরিশাল হলেও এ ঘাটে দাদন থাকায় মাছগুলো এখানেই বিক্রি করতে হয়। একরাতের জন্য এ ঘাটে বিশ্রাম নিচ্ছি। এখন ভাটা চলছে। ভাটায় ট্রলার আটকে আছে। ভোররাতে জোয়ার আসবে। তখন ট্রলার নিয়ে আবারও চার থেকে পাঁচ দিনের জন্য গভীর সমুদ্রে নেমে পড়বো।  

ওই ট্রলারের জেলে আলমগীর ও রহিম বলেন, ঘুমানোর আগে মেবাইলে গান শুনে নিচ্ছি। ভোরবেলায় মাছ শিকারে নেমে পড়বো।  

তাদের পাশের একটি ট্রলারে জাল মেরামত করে নিচ্ছেন কয়েকজন জেলে। তারাও ভোররাতে নেমে পড়বেন মাছ শিকারে।  

জেলে সজীব বলেন, গত কয়েকদিনে মাছ শিকারে ব্যস্ত ছিলাম। এখন ঘাটে ট্রলার নোঙর করে রেখে জাল মেরামত করে নিচ্ছি। এরপর একটু ঘুমাবো। ভোররাতেই সাগরের উদ্দেশ্যে রওনা করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।