নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে হাতকড়াসহ মাদক মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন তার নারী স্বজনরা।
পালিয়ে যাওয়া আসামির নাম ইসমাইল হোসেন বয়াতি (৪৫)।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জামাইয়ের টেক এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। কামড়ে আহত কোম্পানীগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রবিউল প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, মাদক কারবারী ইসমাইল বয়াতি পেশায় একজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। তবে তিন বছর ধরে রিকশা চালানো ছেড়ে দিয়ে বসুরহাট পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার মদদে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিলেন তিনি।
বুধবার বিকেলে জামাইয়ের টেক এলাকায় মাদক বিক্রি হচ্ছে এমন গোপন খবর পেয়ে এএসআই রবিউলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়।
পরে তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার পরিবারের কয়েকজন নারী ও পুরুষ এসে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে আসামিকে নিয়ে পুলিশ সদস্যরা থানায় নিয়ে আসার জন্য প্রস্তুত হলে ঘটনাস্থলে আসামির এক নারী স্বজন এএসআইয়ের হাতে কামড় দিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান।
এরপর এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারী ইসমাইল বয়াতির মামা মোশারেফ (১৯), সৌরভ (২৪), মামাতো ভাই কালা (১৯) ও প্রতিবেশী ইমনসহ (২৪) কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তবে বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত পালিয়ে যাওয়া ইসমাইল বয়াতি ও তার পরিবারের কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আহত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রবিউল বলেন, ঘটনাস্থলে আমরা পাঁচজন পুলিশ ছিলাম। নারী হওয়ায় আমরা কিছু করতে পারিনি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পালিয়ে যাওয়া ইসমাইল বয়াতিকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে। তিনি এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী। তার নামে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
এসআই