নীলফামারী: নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্নস্থানে আগাম আলু চাষ করছে কৃষকরা। আলু চাষকে কেন্দ্র করে জেলার কৃষক ও শ্রমিকদের ব্যস্ততা বেড়েছে।
কিশোরগঞ্জের উত্তর দুরাকুটি, নিতাই, মাগুড়া, পুটিমারী, কালিকাপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায় আগাম ধানের কাটাই মাড়াই শেষে জমিতে আগাম আলুর বীজ বুনছেন কৃষকরা। চারিদিকে যেন আলু উৎপাদনের উৎসব চলছে।
মাগুড়ার কৃষক সাবের আলী জানান, জমিতে সেভেন জাতের আলু লাগানো হচ্ছে। পাঁচ বিঘা জমিতে তিনি এবারে আলু লাগাচ্ছেন। এ বছর ডিজেল, বীজ ও শ্রমিকের পারিশ্রমিক কিছুটা বেশি।
উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের কুটিপাড়া এলাকার কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন, এ বছর ৫ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপণ করেছি। আশা করছি ফসল ভালো হবে।
একই এলাকার রফিকুল হোসেনও আগাম আলু চাষ করেছেন ৫ বিঘা জমিতে। তিনি বলেন, আমাদের এদিকের ডাঙ্গা জমিগুলো একদম উঁচু এবং বালুমিশ্রিত। ভারী বৃষ্টিপাত হলেও তেমন ভয় থাকে না। তাই আগেভাগে দ্বিগুণ লাভের আশায় আগাম আলু চাষ করেছি।
কৃষকরা জানায়, এক সময় এ অঞ্চলে আশ্বিন-কার্তিক অভাবের মাস হিসেবে পরিচিত ছিল। হাজার হাজার কৃষক ও কর্মজীবী মানুষকে চরম অভাবের মধ্যে পড়তে হয়েছিল এ মাসগুলোতে। সেই দিন এখন আর নেই। ফসলের বহুমুখী করণ ও আগাম ফসল উৎপাদনে কৃষি বিপ্লবে কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হলো বর্তমানে কৃষি উপকরণ ও পণ্যের দাম অনেক বেশি, যা কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, চলতি বছর ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১০০ হেক্টর বেশি। এ বছর আগাম আমন ধানে রেকর্ড পরিমাণ ফলন পেয়ে কৃষক আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উঁচু জমিতে আলুচাষে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নিচু জমিতে আবহাওয়া দেখে রোপণের কথা বলা হচ্ছে। আশা করছি ভালো ফলন ও চড়া বাজার মূল্য পেয়ে কৃষক পরিবারে সমৃদ্ধি বয়ে আনবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২
জেডএ