ঢাকা: চলতি বছরের বিগত আট মাসে সারাদেশে ৫৭৪ জন্য কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৬৪ জন একক ধর্ষণের শিকার।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের হিসাব অনুযায়ী প্রতিমাসে ৭১ জন কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়। প্রতিদিনের হিসাবে সে সংখ্যা ২ জন। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনা বেড়েই চলছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর প্রেসক্লাবে সংগঠনটির সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি এ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগষ্ট পর্যন্ত ২৪টি জাতীয় জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন দৈনিক পত্রিকা থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেমের অভিনয় ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৪৯ কন্যাশিশু ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের পর ২০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
গত ৮ মাসে ১৮৬ জন কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ১৮১ কন্যাশিশু। বিদায়ী ৮ মাসে ২৩০১ জন কন্যাশিশুর বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয়েছে। যা গড়ে প্রতি মাসে দাঁড়ায় ২৮৮জন৷ এ ৮ মাসে ৫৮৯ বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
৮ মাসে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ১৩৬ কন্যাশিশু৷ যাদের মধ্যে ৭৪ জনকে অপহরণ করা হয়েছে৷ এছাড়া যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩ জন। যৌতুক দিতে না পারায় ৫ কন্যাশিশু আত্মহত্যা করে।
গত ৮ মাসে ১৫টি শিশু গৃহশ্রমিককে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২ জন শিশুশ্রমিক হত্যার শিকার হয়েছে, আরও এক শিশু আত্মহত্যা করছে।
অনুষ্ঠানে কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২
এনবি/এসএ