ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

তিন ইস্যুতে ঢাবি সাদা দলের মানববন্ধন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
তিন ইস্যুতে ঢাবি সাদা দলের মানববন্ধন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি; বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে  রায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক রুহুল আমিন, ফার্মাসি অনুষদের সাবেক ডিন আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, বাংলাদেশে হাজারো মামলা ঝুলছে। সাগর রুনির হত্যা মামলা ১০০ বার পিছিয়েছে। তবুও তাদের এই চার্জশিট আদালতে দাখিল হয়নি। চার্জশিট দাখিল হলে সরকারদলীয়দের মুখোশ উন্মোচন হবে বলেই এর বিচার সম্পন্ন হচ্ছে না। অথচ তারেক রহমানের মামলা মাত্র ১৬ কার্যদিবসের মধ্যে তাড়াহুড়ো করে ৪৩ জনের সাক্ষী নিয়ে ফরমায়েশি রায় দিয়েছে। আমরা কোনো কোর্টের ওপর আস্থা রাখতে চাই না।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন গণমানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আমান উল্লাহ আমান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পিটিয়ে অগণতান্ত্রিক আচরণ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যারা সরকারের পক্ষে যারা কাজ করছে তাদের অগণতান্ত্রিক আচরণে সব দলমতের শিক্ষার্থীরা বিচরণ কর‍তে পারছে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের থেকে মুক্ত নয়। বিগত দুটি নির্বাচন প্রমাণ করে এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। এদেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। এসময় সরকারকে তিনি পদত্যাগের আহ্বান জানান।

অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য হলো তাদের রাস্তা পরিষ্কার করা। এজন্যই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে শাস্তির সম্মুখীন করা হয়েছে। এমনকি আপিল বিভাগে আবেদন করার পর সেই সাজা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে রেখেছেন যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।

তিনি বলেন, তারেক রহমানকে এমন একটা মামলার জন্য ৯ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে যা অত্যন্ত অমানবিক। তাদের এমপি, মন্ত্রী সমর্থকরা কোটি কোটি টাকা লুটে নিচ্ছে, রিজার্ভের ঘাটতি তৈরি হয়েছে, দেশ ঋণের বোঝায় জর্জরিত। কিন্তু তাদের কাউকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে না।

মানববন্ধনে যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, গত ২ আগস্ট একটি কথিত দুর্নীতি মামালায় দণ্ডিত করা হয়েছে। অগণতান্ত্রিক সরকার জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হিসেবে এসব করেছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা চলমান। জোবাইদা রহমান রাজনীতির সাথে জড়িত নয়। সে যেন বিএনপির রাজনীতির হাল ধরতে না পারে সেজন্য তাকেও জড়িত করা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে ২ কোটি টাকা প্রহসনের মামলা দিয়ে রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করেছে। অথচ ২ কোটি টাকা পদ্ধতিগত কারণে অন্য অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে যা বর্তমানে প্রায় ৭ কোটি টাকা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
এসকেবি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।