ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ফকিরেও বলে ফার্মের মুরগি খাইতাম না: মতিয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
ফকিরেও বলে ফার্মের মুরগি খাইতাম না: মতিয়া

ঢাকা: ফকিরেও এখন পান্তা ভাত খায় না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, এখন ফকির খাওয়াতে চাইলে, তারা মেনু জিজ্ঞেস করে। প্রথমেই বলে দেয়, ফার্মের মুরগি গোস্ত খাইতাম না!

বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ও তাঁর স্মরণে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ।

আলোচনা সভায় বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, আগে হকার্স মার্কেটে সেকেন্ড হ্যান্ড কাপড় বিক্রি হতো। এখন সেখানে কাপড় বিক্রি হয় ঠিকই, কিন্তু পুরনো কাপড় বিক্রি হয় না। ফকিরেও এখন পান্তা ভাত খায় না। ঢাকা শহর তো বটেই মফস্বলেও যদি ফকির খাওয়াতে চান, তাহলে তারা মেনু জিজ্ঞেস করে, কী দিয়ে খাওয়াবেন? প্রথমেই বলে দেয় ফার্মের মুরগির গোস্ত খাইতাম না। অর্থাৎ, তারা এর চেয়ে রুচিকর অন্যান্য মাংস বা গোস্ত খেতে চায়।

তিনি আরও বলেন, আগস্ট মাস আমাদের শোকের মাস, কান্নার মাস। একইসঙ্গে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার সংকল্পের মাস। আগস্ট মাসে আমাদের করণীয় বলতে আমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করাকে বুঝি। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, আমার স্বপ্ন বাংলার মানুষ যেন ক্ষুধার সময় অন্ন পায়, পরনে বস্ত্র পায়, রোগে চিকিৎসা পায়, শিক্ষার আলোতে আলোকিত হয় এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই পায়। সেই পাঁচটি কাজই আজকে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মানুষ অর্জন করেছে।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণ করেই প্রধানমন্ত্রী থেমে নেই। তিনি ধীরে ধীরে আরও সামনের দিকে এগোতে চান। তিনি চান, মানুষের জীবন আরো মসৃণ হোক, মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ পাক। আজকে প্রধানমন্ত্রী একটি নতুন জীবন, নতুন ভবিষ্যতের আশা অভিভাবক, বাবা-মায়েদের চোখে এঁকে দিতে সক্ষম হয়েছেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন।

আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘুমের সময় বাদে বাকি সময় তিনি ভাবেন, কীভাবে মানুষকে দিতে পারবেন। এই দেওয়ার চিন্তা প্রধানমন্ত্রী তার পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার দৃঢ় সংকল্প থেকে পেয়েছেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশ দিয়েছেন, কিন্তু দেশকে সাজিয়ে দেওয়ার সময় পাননি। শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন এবং সেটি বাস্তবায়ন করে চলেছেন।

মতিয়া বলেন, বেগম মুজিব তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন স্বামীর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য। আর আজকে প্রধানমন্ত্রী তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টাই উৎসর্গ করে দিচ্ছেন পিতা-মাতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে এদেশের মানুষকে একটি উজ্জ্বল আলোকিত ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়ার জন্য। এ জন্যই তার নিরন্তন সংগ্রাম ও পথচলা।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম মৃধার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. বলরাম পোদ্দার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।