ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ. লীগ দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের মুখে নিয়ে গেছে: হাসনাত কাইয়ুম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
আ. লীগ দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের মুখে নিয়ে গেছে: হাসনাত কাইয়ুম

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষ, পরিবেশ-প্রকৃতি, ভবিষ্যৎ সবকিছুকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) দমন, নিপীড়ন, গ্রেপ্তার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবিতে আয়োজিত গণমিছিলের আগে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে ছয়টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত জোট গণতন্ত্র মঞ্চ।

আওয়ামী লীগ সরকার অসাংবিধানিক কায়দায় সংবিধান পরিবর্তন করেছে অভিযোগ করে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, তারা বিচার পরিচালনা করে, আইন বানায় বে-আইনি কাজ করার জন্য। তারা দেশের মানুষ, পরিবেশ-প্রকৃতি, ভবিষ্যৎ সবকিছুকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের জন্য সমগ্র দেশের মানুষ যখন রাস্তায় নেমেছে, তখন তারা ভাড়া করে গবেষক নিয়ে এসেছে। ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠান গবেষণা করে বলেছে, দেশের ৭০ ভাগ মানুষ নাকি শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। শেখ হাসিনাকে যদি ৭০ ভাগ মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায়, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে দেশে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে আপনাদের (সরকার) এত গড়িমসি কেন?

তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ আজকে একটি ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছে। যে পরিস্থিতি অর্থনৈতিক, নৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছে। আজকে দেশ এমন একটি জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বিচারের নামে সবচেয়ে বেশি অবিচার হচ্ছে৷ আজকে এখানে সবচেয়ে বেশি অন্যায় করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে যারা আছেন তারা। সবচেয়ে বেশি টাকা চুরি, আত্মসাৎ ও পাচার করেন সরকারের সঙ্গে যারা থাকেন, যারা ব্যাংকের মালিক, যারা ব্যাংকের রক্ষণাবেক্ষণ করার কথা তারা।

গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের যিনি গভর্নর হন, তার নেতৃত্বে চুরি হয় এবং তিনি প্রশংসিত হন। তার কোনোদিন বিচার হয় না। এই যে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, সমস্ত ব্যবস্থাকে উল্টে দেওয়া হয়েছে, সত্য এবং মিথ্যাকে একাকার করা হয়েছে, মিথ্যাকে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, রাজনীতিকে একটি দস্যুভিত্তিক, লুণ্ঠনভিত্তিক ও দুর্নীতিবাজের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে, এই অবস্থা থেকে যদি দেশকে রক্ষা করতে হয়, তাহলে তাদের (আওয়ামী লীগ) পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।

আজকে আওয়ামী লীগ সরকার নির্যাতনের মুখে দেশের মানুষকে দাঁড় করিয়েছে, যেখানে কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ চলতে পারবে না। সেজন্য আমরা (গণতন্ত্র) বলেছি, এদেরকে (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি তানিয়া হক প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে তারা একটি গণমিছিল করেন। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে পল্টন গিয়ে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।