ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর পুরানা পল্টনে সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, উচ্চতর সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খান, তোফাজ্জল হোসেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আবদুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব প্রমুখ এতে বক্তব্য দেন।
নুর বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে হলে, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই তত্ত্বাবধায়ক সরকার লাগবে। ৯১, ৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এ সময় সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
রাশেদ খান বলেন, সরকার গত ১৪ বছরে কারও কাছে মাথানত করেনি। শুধুমাত্র কোটা সংস্কার আন্দোলনে আমাদের কাছে মাথানত করতে বাধ্য হয়েছে। সে সময়ের ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এমন দৌড়ানি দিয়েছে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এ সময় নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষক সংস্থা অনুমোদনের মাধ্যমে আরেকটা ভুয়া নির্বাচনের ব্যবস্থা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আগামীতে গণঅধিকার পরিষদ পুলিশের অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করবে না ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, আজকের সমাবেশে সহযোগিতা করার জন্য আমরা ডিএমপিতে গিয়েছিলাম। আমাদের বলা হয়েছে অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করা যাবে না। আমরা বলতে চাই, আগামীতে আমরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করবো না। পুলিশ যদি সহযোগিতা না করে আমরা বসে থাকবো না।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
এসকেবি/আরবি