ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড দিয়েই ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সূচনা: আমু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড দিয়েই ষড়যন্ত্রের রাজনীতির সূচনা: আমু ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়েই ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সূচনা হয়েছিল বলে বলেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় ১৪ দলীয় জোট আয়োজিত গণতন্ত্র-উন্নয়ন ও সাংবিধানিক শাসন বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশবাসী কি পেয়েছিল? দেশবাসী পেয়েছিল অসাংবিধানিক ধারা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হত্যা, দেশকে পাকিস্তানে রূপান্তরিত করার ষড়যন্ত্র, জাতীয় সংবিধানের চারনীতি ছুঁড়ে ফেলা, গোলাম আযমকে দেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের নিয়ে দলগঠন ও সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছিল৷

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) এই দেশের ৩০ লাখ আত্মাকে অপমানিত করেছিল। সেই শক্তি দেশের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করেছিল। তখন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে গিয়েছিলেন। তারপরও তারা শান্তিতে থাকতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, আমি দেখেছি, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, খালেদা জিয়া তাদের এই দেশের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।

আমু বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর একবার নয়, দুইবার নয়, ১৯ বার তার প্রাণনাশের জন্য হামলা করেছিল ওই ষড়যন্ত্রকারীরা৷

তিনি বলেন, একদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, অন্যদিকে তার (শেখ হাসিনার) প্রাণনাশ করার চেষ্টা, এরপরও আল্লাহর রহমতে ওই ষড়যন্ত্র কামিয়াব হয় নাই। আল্লাহ তাকে (শেখ হাসিনা) বার বার বাঁচিয়েছেন। কারণ, এই দেশের মানুষ ধর্মপরায়ণ, ধর্মান্ধ নয়।

১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র বলেন, বঙ্গবন্ধু তার এক বক্তব্যে বলেছিলেন, আমার দেশের মুসলমানদের চেয়ে বড় মুসলমান বিশ্বের আর কোথাও নাই। আমার দেশের কৃষকেরা যখন মাঠে হাল চাষ করে তখন আজানের ধ্বনি শোনা মাত্রই গামছা পেতে নামাজ আদায় করতে দাঁড়িয়ে যায়। এই দেশ ১২ আউলিয়ার দেশ, এই দেশে মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা দিতে শেখ হাসিনা সক্ষম হয়েছে৷ শেখ হাসিনা আজকে কমিউনিটি চিকিৎসার মাধ্যমে গ্রাম-গঞ্জে চিকিৎসা দিতে সক্ষম হয়েছেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের মৌলিক পাঁচটি দাবি অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন, বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন৷ সুতরাং ১৮ কোটি মানুষকে যিনি খাদ্য দেন, গৃহহীনদের ঘরের ব্যবস্থা করে দেন, আল্লাহ ওই সব নিরীহ মানুষের জন্য শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য বলেন, আজকে যারা নির্বাচনকে ভয় পায়, গণতন্ত্রকে ভয় পায় তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চেষ্টা করছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, এই দেশে হত্যা গুম ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে। তারা গণতন্ত্রের পেছনে ছুরিকাঘাত করে ক্ষমতায় আসতে চায় বলেই আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) ২০১৩-১৪ সালে জ্বালাও পোড়াও করে শত শত মানুষকে হত্যা করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন হয়েছে। আগামীতেও এই দেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সমাবেশ শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মো. হাবীব হাসান, জাসদের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ শিরীন আক্তার, ১৪ দলীয় জোটের জাতীয় পার্টির (জেপি) সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী, ন্যাপের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মিনাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২৩
এসজেএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।