ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রতিস্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।
শনিবার (১২ আগস্ট) ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ হতাশা প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন থেকে মৌলিকভাবে ভিন্ন কিছু নয়। ডিজিটাল আইন নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই আইন সংস্কারের কথা আইনমন্ত্রী বলে এসেছিলেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ওই আইনের যেসব ধারা সম্পর্কে আপত্তি উত্থাপন করা হয়েছে এবং যেসব ধারার অপপ্রয়োগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশের মধ্যে এক ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল সেসব বাতিল হয়নি, সেসবের ক্ষেত্রে সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছে এবং ওইসব ধারা জামিন যোগ্য করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী নিজেই বলেছেন যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল বা রহিত করা হয়নি। ওইসব ধারায় শাস্তির মেয়াদ ও জামিনের বিষয়টি শিথিল করা হয়েছে মাত্র।
ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে একই সময় গত বছরসমূহের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যেসব মামলা হয়েছে তাও বহাল রাখার যে কথা বলা হয়েছে তাও গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের তরফ থেকে যে আপত্তি উত্থাপন করা হয়েছিল প্রস্তাবিত আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সেসবও যথাযথ বিবেচনা করা হয়নি। এর ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ ও সাংবাদিকদের হয়রানির যে অবারিত সুযোগ ছিল প্রস্তাবিত আইনে তাই-ই বহাল থাকবে।
বিবৃতিতে প্রস্তাবিত আইনকে নাকের বদলে নরুন পাওয়ার শামিল বলে অভিহিত করা হয় এবং বলা হয় এর ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের যে অভিযোগ আইনমন্ত্রী বিভিন্ন সময় স্বীকার করেছেন সেই অপপ্রয়োগের সুযোগও একইভাবে রয়ে যাবে।
প্রস্তাবিত আইন চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক তথা অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয় বিবৃতিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
আরকেআর/আরবি