ঢাকা: বিদেশিদের পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে বিএনপির কোনো লাভ হয় নাই। তা ছাড়া দলটির শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব নেতারাই জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১৪ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে একটি আলোচনায় সভায় যোগ দেন মন্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন। সেখানেই বক্তব্য দেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, মৌলভীবাজারের কূলাউড়ায় ১৩ জঙ্গি আটক হয়েছে। এটি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন আন্দোলন ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য, মানুষ দৃষ্টি সরানোর জঙ্গি নাটক সাজানো হয়েছে। যেমন চেয়ারম্যান তেমন মহাসচিব! যখন সরকার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছিল, অনেক জঙ্গি আটক করছিল তখন বেগম খালেদা জিয়া বলেছিল ‘কিছু মানুষকে জেলে দেওয়া হয়। কিছুদিন আটক রাখা হয়। তারপর যখন চুল দাড়ি লম্বা হয় তখন তাদের জঙ্গি আখ্যা দেয়া হয়। ’ আর এখন ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলছেন মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য নাকি জঙ্গি নাটক সাজানো হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দ হচ্ছেন জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক।
তিনি আরও বলেন, যারা জঙ্গি সমর্থক, জঙ্গিদের লালন পালন করে, কোনো বিদেশি শক্তি তাদের সমর্থন করে না। আর আপনারা জানেন তারেক রহমানকে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেয়নি। ভিসা না দেওয়ার জন্য এখান থেকে তারবার্তা পাঠানো হয়েছিল। এখানকার মার্কিন দূতাবাস থেকে স্টেট ডিপার্টমেন্টে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছিল তারেক রহমান একজন জঘন্য প্রকৃতির মানুষ তাকে যেন ভিসা না দেওয়া হয়। সুতরাং সেই তারেক রহমান যখন সেই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয় সে দলকে কেউ সমর্থন করতে পারে না। কানাডার আদালত বিএনপিকে পরপর পাঁচবার সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল। এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ডিপার্টমেন্টও বিএনপিকে জঙ্গি সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন নানামুখী ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু এই ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হয়নি। বিদেশিদের পেছনে ঘুরে কোনো লাভ হয়নি। তাই বিএনপি এখন ভিন্ন সুরে কথা বলছে। তারা লাখো ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিল। এরমধ্যে কয়েকটা বিবৃতি দিয়েছিল। একেকটা বিবৃতির পেছনে কয়েক লাখ ডলার খরচ হয়েছে। কংগ্রেসম্যানরা বিবৃতি দিল। তারা বিবৃতি দেওয়ার পর হোয়াইট হাউসে যখন প্রশ্ন করা হলো কংগ্রেসম্যানরা একটা বিবৃতি দিয়েছে তোমরা কিছু জানো কিনা ? তারা বলল আমরা তো কিছু জানি না। অথচ এই চিঠি লেখার পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। তাই এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, এতো বিদেশিদের পেছনে ছুটে কোনো লাভ হয় নাই। বিএনপির দাবি কেউ সমর্থন করে না।
তিনি আরও বলেন, এরজন্যই বিএনপির সুর এখন ভিন্ন। তারা এখন বলছে, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন কি বলল আসে যায় না। এখন সুরটা আরেক রকম হয়ে গিয়েছে। তাদের সাথে কেউ নাই। এখানে ফখরুল সাহেব লাফালাফি করলেও কিছু আসে যায় না, গয়েশ্বর বাবু অভিনয় করলেও কিছু আসে যায় না, আমান উল্লাহ আমান অচেতন হওয়ার ভান করলেও কিছু আসে যায় না। তাদের সাথে কেউ নাই।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন। আরও উপস্থিত ছিলেন যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সম্পাদক ফোরামের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৩
ইএসএস/এমজে