ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র উন্মোচনে ট্রুথ কমিশনও গঠনের আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র উন্মোচনে ট্রুথ কমিশনও গঠনের আহ্বান

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার ষড়যন্ত্র উন্মোচনে ট্রুথ কমিশন গঠনেরও আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু স্মরণে সিপিবি আয়োজিত এক আলোচনা সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, বক্তব্য দেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড শামসুজ্জামান সেলিম ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ।

সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেন, মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বিরত করে, দুঃশাসন কায়েম করে, সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দিয়ে, লুটেরাদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে, সাম্রাজ্যবাদকে তোষণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র উন্মোচন করে সাম্রাজ্যবাদ এবং লুটেরা পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে দেশ পরিচালনা করলেই কেবল ৭৫’র ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বদলা নেওয়া হবে। কারণ, সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা ছিল দেশিয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এর মধ্যে দিয়ে প্রতিক্রিয়াশীল ক্যু সংগঠিত করা হয়েছিল।

কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সূচিত প্রগতিশীল ধারাকে উল্টে দিয়ে দেশকে পাকিস্তানি ধারায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ৭৫’র ১৫ আগস্ট স্পষ্টতই একটি দেশ বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল ক্যু সংঘটিত হয়েছিল। ১৯৭৫ এর আগে থেকেই আমাদের দেশে পুঁজিবাদী ধারা শুরু হয়েছিল। এই সুযোগে দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল চক্র ১৫ আগস্ট তাদের ষড়যন্ত্র কার্যকর করে। গণতন্ত্রহীনতা, সাম্প্রদায়িকতা, লুটপাটতন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদ-আধিপত্যবাদী শক্তিকে পরাস্ত করা ছাড়া গণতন্ত্রকে স্থায়ী করা ও মানুষের মুক্তি অর্জন করা যাবে না।

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, দেশ একটি ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পৌঁছে গেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি প্রগতিশীল অগ্রগতি। এই অগ্রগতি ধরে রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা ছিল। এই হত্যাকাণ্ড ছিল রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াশীল ঘটনা।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র উন্মোচন করে, ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত সকলকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশে ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ভারত, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের আর্কাইভ থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড।

সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২৩
আরকেআর/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।