ঢাকা, বুধবার, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শরীয়তপুরে আ.লীগ নেতার হামলায় ব্যবসায়ী আহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪
শরীয়তপুরে আ.লীগ নেতার হামলায় ব্যবসায়ী আহত

শরীয়তপুর: নাঈম সরকার নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করার এবং তার দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক ও রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মহব্বত খান মাসুদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

 

বুড়িরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, গত বুধবার মাসুদ বুড়িরহাট বাজারের চার ব্যবসায়ীকে ফোনে কল দিয়ে বলেন যে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাদের কল দেবে এবং তার কথা তাদের (ব্যবসায়ীদের) মানতে হবে। পরে ইউএনও পরিচয়ে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়।

ওই চার ব্যবসায়ীর মধ্যে দুই ব্যবসায়ী ফোনটি প্রতারকচক্রের বুঝতে পারলেও এক ব্যবসায়ী ৫০ হাজার টাকা দেন ওই প্রতারকচক্রকে। পরে বিষয়টি পুরো এলাকায় জানাজানি হলে মাসুদ এনিয়ে বাড়াবাড়ি করতে না করেন। বাজারের ব্যবসায়ী নাঈম সরকার এর প্রতিবাদ করলে তার ওপর মাসুদ দলবল নিয়ে হামলা করেন। এসময় তার দোকানে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা নিয়ে যান তারা এবং দোকান ভাঙচুর করেন। পরে আহত অবস্থায় নাঈম সরকার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।  

এর আগে গত উপজেলা নির্বাচনের সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান আকন্দ উজ্জ্বলের পক্ষে কাজ না করায় মাসুদের নেতৃত্বে বাজারের অনেক ব্যবসায়ীর দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে।  

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী নাঈম সরকার বলেন, বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ীর থেকে মাসুদ টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি প্রতিবাদ করায় মাসুদ ১০/১২ জন লোক নিয়ে আমার দোকানে এসে আমাকে মারধর করে এবং দোকান ভাঙচুর করে পাঁচ লাখ ১১ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এর আগে নির্বাচনের সময় আমার দোকান বন্ধ করে দিয়েছিল।  


অভিযুক্ত রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মহব্বত খান মাসুদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর জয়ন্ত আমাকে ফোন দিয়ে বলে যে ইউএনও স্যার আপনাকে ফোন দেবে। তখন একটি নম্বর থেকে ফোন করে আমাকে ইউএনও পরিচয় দিয়ে বুড়িরহাট বাজারের মিষ্টির দোকান ও স’মিলের বিষয়ে জানতে চায় এবং মোবাইল ফোন নম্বর নেয়। পরে চার ব্যবসায়ীর মধ্যে একজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয় বলে পরে জানতে পারি। কিন্তু নাঈম আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোয় তাকে আমি জিজ্ঞেস করেছি। এসময় ছেলেরা ওকে হালকা মারধর করেছে।

এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাইনউদ্দিন বলেন, আমি এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।