ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বসুন্ধরা শুভসংঘ

বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞ তারা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৪
বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞ তারা সুমাইয়া আক্তার

ঢাকা: সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর স্যারের প্রতি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি, আমাকে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনায় সার্বিক সহযোগিতার জন্য।

বসুন্ধরা শুভসংঘ শিক্ষাবৃত্তির জন্য আমি পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে এবং ভালো ফল করতে পেরেছি। সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছি।

উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়ার খরচ চালানোর মতো অর্থনৈতিক সামর্থ্য আমার পরিবারের ছিল না। একাদশ শ্রেণির প্রথম দিন থেকে বসুন্ধরা শুভসংঘ আমার পাশে ছিল। আনভীর স্যার আমাকেসহ শতাধিক শিক্ষার্থীকে ভর্তি ও জামা, জুতা, ব্যাগ কেনার টাকা দিয়েছিলেন। প্রতি মাসে শিক্ষাবৃত্তি ছাড়াও যেকোনো প্রয়োজনে অর্থনৈতিক, মানবিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচারণ এবং সহযোগিতা পেয়েছি বসুন্ধরা শুভসংঘের কাছ থেকে।

পড়াশোনা চালিয়ে যেতে স্বপ্নপূরণের পথে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আজীবন শুভসংঘের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। তাদের সহযোগিতা ছাড়া এই প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করে পড়াশোনা করার স্বপ্ন চিরকাল স্বপ্নই রয়ে যেত। শুভসংঘের শিক্ষাবৃত্তির সাহায্যে আমি যেমন উচ্চ মাধ্যমিক পড়া শেষ করতে পেরেছি, তেমনি ভবিষ্যতে দেশের সম্পদ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারব, ইনশাআল্লাহ।

এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আমি জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি।

তাসমিনা রহমান

 

আমার এই সাফল্যের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের সহযোগিতা ছাড়া আমার এত দূর আসা সম্ভব ছিল না। বর্তমান সময়ে শিক্ষার খরচ অনেক বেড়ে গেছে এবং আমার মতো অনেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমাকে বৃত্তি দিয়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে এবং লক্ষ্য অর্জন করতে সহায়তা করেছে। তাদের উদারতা আমাকে শুধু আর্থিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও অনুপ্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে।

ভবিষ্যতে আমিও দেশের জন্য কিছু অবদান রাখতে পারব এবং অন্যদের জন্যও অনুপ্রেরণা হতে পারব। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, পড়াশোনা শেষ করে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব, যাতে বসুন্ধরার দেওয়া সুযোগের সঠিক ব্যবহার করতে পারি। এই সহযোগিতার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। ভালো থাকুন বসুন্ধরা শুভসংঘের সব সদস্য। তাঁদের জন্য অনেক দোয়া ও শুভ কামনা।

মোহতাসিম বিল্লাহ

আসসালামু আলাইকুম। আজ আমি বসুন্ধরা গ্রুপ ও শুভসংঘের প্রতি আমার হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। যখন আমি এসএসসিতে ভালো ফল করি, তখন বসুন্ধরা গ্রুপ আমাকে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনার জন্য বৃত্তি দেয়। এর ফলে আমি পড়াশোনায় এক নতুন দিগন্তের স্বপ্ন দেখেছিলাম। বৃত্তিটি আমার জীবনের একটি বিশেষ মুহূর্ত ছিল। আমি জানি, শুধু প্রেরণা পেলেই সফলতা আসে না, এর জন্য সঠিক সুযোগও দরকার। বসুন্ধরা শুভসংঘ আমাকে সেই সুযোগটি দিয়েছে। এটি আমাকে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য উজ্জীবিত করেছে এবং আমার বিশ্বাস জুগিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। তবে বসুন্ধরা গ্রুপের এই সহায়তা আমাকে প্রতিটি বাধা অতিক্রম করতে সাহস জুগিয়েছে। আমি প্রতিটি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। কারণ আমি জানতাম, আমার সাফল্যের পেছনে বসুন্ধরা শুভসংঘের অবদান আছে। আলহামদুলিল্লাহ, আমি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেছি। এই সাফল্য আমার একার নয়, এটি সেই সব মানুষের, যাঁরা আমার পাশে ছিলেন, তাঁদের একটি সম্মিলিত সাফল্য। আমি শুভসংঘের সব সদস্যের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনারা আমার মতো অনেক শিক্ষার্থীর জন্য স্নেহ ও সমর্থনের বাতিঘর। এই শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে আপনারা শুধু আমাকে নয়, বরং প্রতিভাবান অনেক শিক্ষার্থীকে একটি নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন।

সুমন চন্দ্র রায়

বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে বৃত্তি পেয়েছি বলেই আজ আমি এইচএসসিতে ভালো ফল করতে পেরেছি। অনেক ধন্যবাদ জানাই বসুন্ধরা গ্রুপকে। যদি আমি এই বৃত্তিটি না পেতাম, তাহলে আমার পড়াশোনাই বন্ধ হয়ে যেত। প্রথমে তারা আমাকে এককালীন যে টাকা দিয়েছে, তা দিয়ে ভর্তি, বই কেনাসহ আরো কিছু প্রয়োজন মিটিয়েছি। প্রতি মাসে টাকা দেওয়া আমার পরিবারের পক্ষে অসম্ভব ছিল। বৃত্তি যদি আমি না পেতাম, তাহলে হয়তো গ্রামের কলেজে পড়াশোনা করতাম। সব বই কিনতে হয়তো এক বছর লেগে যেত। টাকা রোজগারের জন্য কাজে যেতাম এবং দিনশেষে ফল খারাপ আসত। আমি হয়তো এত দিনে একজন রাজমিস্ত্রি হয়ে যেতাম। আজ আমার ফলাফলে বসুন্ধরা গ্রুপের অবদান অনস্বীকার্য। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে যত দিন জীবিত থাকব, এই অবদান কখনোই ভুলব না। কৃতজ্ঞতা বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি।

মোছা. রেহেনা

আমার জীবনে যখন পড়াশোনা শেষ হতে যাচ্ছিল, তখনই বসুন্ধরা গ্রুপ আশার আলো জ্বালিয়েছে। আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা একেবারে ভালো না। বাবা ২০১৬ সালে মারা যান। তখন থেকেই মা মানুষের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে আমাদের তিন বোনের পড়াশোনার খরচ চালাতেন। বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব। ভেবেছিলাম, এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর বুঝি আমার পড়াশোনা আর হবে না। আল্লাহর অশেষ কৃপা এবং বসুন্ধরা গ্রুপের সাহায্যের কারণে আমি এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিই এবং উত্তীর্ণ হই। তারা প্রতি মাসে আমাকে টাকা দিয়েছে। আমি আবারও বলতে চাই, বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব। আমার আরেকটি স্বপ্ন রয়েছে, যেটি শুধু বসুন্ধরা গ্রুপের মাধ্যমে পূরণ হতে পারে। আমি অনার্সে ভর্তি হতে চাই, আরো পড়াশোনা করতে চাই। বসুন্ধরা পাশে থাকলে আমার এই স্বপ্নটি পূরণ করতে পারব। পড়াশোনা শেষ করে ভালো কিছু করে মা-বোনদের পাশে থাকতে পারব, ইনশাআল্লাহ।

ইরানী আফরিন রজনী

আমি এবার খুলনা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে ভালো ফল নিয়ে এইচএসসি পাস করেছি। ২০২২ সালে এসএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়ার পর আমার স্বপ্ন ছিল একটি ভালো কলেজে ভর্তি হওয়া।  আব্বু একজন কৃষক এবং আমাদের ছয় সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে আমার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপ আমাকে এককালীন ২৫ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বৃত্তি দিতে শুরু করে। তাদের এই সহায়তা আমাকে খুলনায় থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সম্পূর্ণ সাহায্য করেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ 

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৪
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।