ক্রিকেট
দলের সবাই যখন ব্যাট হাতে ব্যর্থ তখন সফল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ম্যাচের দুই ইনিংসেই ফিফটি করেছেন তিনি। ৯ বছর পর একই ম্যাচের দুই
একের পর এক ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতা সঙ্গী হচ্ছে বাংলাদেশের। ব্যাট হাতে টানা ব্যর্থ হচ্ছেন মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্তরা। প্রথম
বাংলাদেশ কি জিততে পারে? সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবুও একদম ছিটকে দেওয়া যাচ্ছে না মাঝ থেকে, এটাই বোধ হয় দিনের একটি ভালো সেশনের প্রাপ্তি।
এই সেশনটি কেবল বাংলাদেশেরই-এমন বললে একটুও ভুল বলা হবে না। ম্যাচের অষ্টম সেশনে এসে একটি উইকেটও পড়েনি। ক্রিজে ছিলেন বাংলাদেশেরই দুই
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন সাকিব আল হাসান। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরলেন আরও একবার। টানা তিন ইনিংসে হাঁকালেন ফিফটি। অ্যান্টিগার
একের পর এক ব্যাটারের আসা-যাওয়ার মিছিল। বাংলাদেশের ইনিংস হারেরই শঙ্কা জেগেছিল এক পর্যায়ে। তবে সেটি হতে দিলেন না নুরুল হাসান সোহান ও
ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারল না বাংলাদেশ। পুরোনো রোগের দেখা মিলল আরেকবার। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন ব্যাটাররা। এক
১১২ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটারদের দরকার ছিল স্থিরতা ও ধৈর্য। নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য ছিলেন
সম্প্রচার নিয়ে জটিলতা শেষ অবধি আর কাটেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট দেখা যায়নি টিভিতে। তবে ম্যাচের তৃতীয় দিনে এসে
সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে পুরো শহর। পুরো দেশের
নারীদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জিতেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সালমা খাতুনের নেতৃত্বে শিরোপা জিতেছে তারা। ছেলেদের
সিলেটে ভয়াবহ বন্যায় দেশজুড়ে জড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ। পানিবন্দি হয়ে আছেন বিভাগটির বেশির ভাগ মানুষ। এমন সময় সেখানে অবস্থান করছে
প্রথম ইনিংসে দল অলআউট হয়েছে কেবল ১০৩ রানে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও অল্পতে অলআউট করা যায়নি। বাংলাদেশের সুযোগ মিসের মহড়ার ভেতর ২৬৫ রান
শুরুর দিকে বোলিংয়ের দিশাটাই পাচ্ছিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম দিনে দলের সবচেয়ে খরুচে বোলারও ছিলেন তিনি, পাননি উইকেটের দেখাও।
সুযোগ মিসের দিন? বলা যায়। দিনটা তো তাহলে ঘুরে দাঁড়ানোরও। কিন্তু দিনের শেষে আবার তো হারাতে হলো দুইটি উইকেটও। সব মিলিয়ে অম্লমধুর এক
পুরো ম্যাচজুড়েই বাংলাদেশের জন্য ছিল আক্ষেপ আর হতাশা। অবশেষে একটি সেশন নিজেদের করে নিতে পেরেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। অ্যান্টিগার
দীনেশ কার্তিক ও হার্দিক পান্ডিয়ার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ গড়েছিল ভারত। এরপর বল হাতে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার
ইনিংসজুড়ে খালেদ আহমেদকে নিয়ে হতাশাটা বাড়ছিল। একদিকে এবাদত হোসেন-মোস্তাফিজুর রহমানরা চাপ বাড়াচ্ছিলেন, আরেকদিকে আলগা বল করছিলেন
একের পর এক সুযোগ এলো। তাতে কাজের কাজ অবশ্য হলো না কিছুই। অল্প পুঁজি নিয়ে খেলতে নেমে যেখানে কাজে লাগানো দরকার হাফ চান্স, বাংলাদেশ
এমনিতেই স্কোরকার্ডে রান কম। এমন ম্যাচে প্রতিটি সুযোগই কাজে লাগানো ভীষণ জরুরি। অথচ হাফ চান্স তো দূর, বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারছে না
পুরোনো সংবাদ গুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন