ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

লঙ্কানদের ৩০২ রানে হারিয়ে সেমিতে ভারত

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২৩
লঙ্কানদের ৩০২ রানে হারিয়ে সেমিতে ভারত

এমন বাজে হারের পর মুখ লুকানোটাই বেশ কঠিন। তবে একটা দিক থেকে নিজেদের স্বস্তি দিতে পারে শ্রীলঙ্কা।

দেড় মাস আগে খেলা এশিয়া কাপ ফাইনাল থেকে ৫ রান বেশি করেছে তারা। সেবার অলআউট হয়েছে ৫০ রানে, এবার গুটিয়ে গেল ৫৫ রানে। প্রতিপক্ষ সেই ভারতই। বিধ্বংসী বোলিংয়ে লঙ্কানদের ৩০২ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিল স্বাগতিকরা। একইসঙ্গে নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনালের জায়গা। সাত ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেছে রোহিত শর্মার দল।  

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৩৫৮ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যের কাছে দেবে যায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের প্রথম পাথুম নিসাঙ্কাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেন জাসপ্রিত বুমরাহ। পরের ওভারের প্রথম বলেও উইকেট। এবার দিমুথ করুনারত্নেকে গোল্ডেন ডাক উপহার দেন মোহাম্মদ সিরাজ। ওয়ানডে ইতিহাসে এবারই প্রথম দুই ওপেনিং বোলার নিজেদের প্রথম বলেই পেলেন উইকেটের দেখা।

সেই ওভারের পঞ্চম বলে লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসের স্টাম্প উড়িয়ে দেন সিরাজ। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে সাদিরা সামারিবিক্রমাকে শিকার করার পর ফিরিয়ে আনেন এশিয়া কাপ ফাইনালের স্মৃতি।  

তবে লঙ্কানদের গুঁড়িয়ে দেওয়ার বাকি কাজটা সারেন শামি। আগের দুই ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়ে ডানহাতি এই পেসার জানিয়েছিলেন কতটা আগুনে ফর্মে  আছেন তিনি। ইনিংসের দশম ওভারে প্রথমবার তার হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এরপর একে একে শামির শিকারে পরিণত হয় চারিথ আসালাঙ্কা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দুশান হেমন্থ, দুশমন্থ চামিরা ও কসুন রাজিথা। যার ফলে ২০ ওভারও খেলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ ১৪ রান রাজিথার ব্যাট থেকে। তিন অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল তিন ব্যাটার।   ভারতের হয়ে শেষ উইকেটটি নেন রবীন্দ্র জাদেজা।  

মাত্র ৫ ওভারে ১৮ রান খরচ করে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফাইফার তুলে নেন শামি। পান ম্যাচসেরার পুরস্কার। ৪৫ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে সবচেয়ে সফল বোলার এখন তিনি। এর আগে ৪৪ উইকেট নিয়ে তালিকার চূড়ায় ছিলেন জহির খান ও জাভাগাল শ্রীনাথ।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ৩৫৭ রান তুলে ভারত। ইনিংসের প্রথম বলে চার মারা অধিনায়ক রোহিত শর্মা সাজঘরে ফেরেন পরের বলেই। কিছুটা নড়বড়ে লাগছিল বিরাট কোহলি ও শুভমান গিলকে। দুজনেই নতুন জীবন পেয়ে দ্বিতীয় উইকেটে গড়লেন ১৮৯ রানের জুটি। সেঞ্চুরির পথে থাকলেও আক্ষেপ নিয়ে ফেরেন তারা।

৯২ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ৯২ রানে মাদুশঙ্কার শিকার হন গিল। এর কিছুক্ষণ পর মাদুশঙ্কার বলেই পথ হারান কোহলি। ৪৯তম সেঞ্চুরির অপেক্ষা বাড়িয়ে ৯৪ বলে ১১ চারে ৮৮ রান করেন তিনি। অল্প সময়ে দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ভারত। তবে সেটা সামাল দেন শ্রেয়াস আইয়ার ও লোকেশ রাহুল। চতুর্থ উইকেটে ৬০ রান যোগ করেন তারা।  

রাহুল ২১ রানে ফিরে গেলেও একপ্রান্ত আগলে রাখেন আইয়ার। ৪৮তম ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫৬ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৮২ রানের ঝোড়ো ইনিংস। এরপর রবীন্দ্র জাদেজার ২৪ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে সাড়ে তিনশ পার করে ভারত।

৫ উইকেট শিকারের পেছনে ৮০ রান খরচ করেন দিলশান মাদুশঙ্কা। সেই রানটাও করতে পারেনি লঙ্কানরা ব্যাটাররা।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২৩
এএইচএস 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।