বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের। সেমিফাইনালও নিশ্চিত করেছে দুই দল- ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
অস্ট্রেলিয়া (৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট, নেট রানরেট: ০.৯২৪)
সাত ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের তিনে আছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। আসরে শুরুর দুই ম্যাচ হারলেও পরে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারা। এখন শেষ দুই ম্যাচের ভেতর একটিতেই জিতলেই নিশ্চিত করবে সেমিফাইনাল। তবে যদি আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ দুই দলের কাছেই হারে তবুও সেমিতে যাওয়ার সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে নিজেদের শেষ ম্যাচে হারতে হবে নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান। এমনকি তারা জিতলেও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকলে শেষ চারে থাকবে অস্ট্রেলিয়া।
নিউজিল্যান্ড (৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট, নেট রানরেট: ০.৩৯৮)
আসরের প্রথম চার ম্যাচে চার জয়ে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। কিন্তু পরের চার ম্যাচে মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখে কিউইরা। তাই তাদের সেমিতে উঠার ভাগ্য এখন সুতোয় ঝুলছে। সেরা চারে থাকতে করতে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতেই হবে। একইসঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের হারের দিকে।
যদি আফগানিস্তান তাদের শেষ দুই ম্যাচের মধ্যে একটিতে জয় পায় ও পাকিস্তানও যদি ইংল্যান্ডকে হারায় তাহলে তিন দলেরই হবে ১০ পয়েন্ট। সেক্ষেত্রেও সুযোগ আছে কিউইদের। কেননা রানরেটের ব্যবধানে তিন দলের মধ্যে এগিয়ে আছে তারা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩০০ রান সংগ্রহ করে যদি এক রানেও জিতে তাতেও খুব একটা সমস্যা থাকার কথা না। কারণ তখন কিউইদের টপকে যেতে হলে ইংল্যান্ডকে ১৩০ রানে হারাতে হবে পাকিস্তানের।
আফগানিস্তান (৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট, নেট রানরেট -০.৩৩০)
এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমক আফগানিস্তান। গত আসরে সব ম্যাচে হারা দলটি এবার তুলে নিয়েছে চার জয়ে। এর মধ্যে তিনটিতেই হারিয়েছে তিন বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে। দেখছে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন। বাকি দুটি ম্যাচের দুটিতেই জিতলে ইতিহাস গড়বে তারা।
তবে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা হওয়ায় আপাতদৃষ্টিতে তা কঠিনই মনে হচ্ছে। এর ওপর রানরেটও খুব একটা শক্তিশালী নয়। তাই শেষ দুই ম্যাচে হারলেই বিদায় অনেকটা নিশ্চিত তাদের। কিন্তু নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান তাদের শেষ ম্যাচে হারলে সেক্ষেত্রে কেবল একটি ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করবে আফগানরা।
পাকিস্তান (৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট, নেট রানরেট: ০.০৩৬)
পাকিস্তানের সেমিফাইনালের যাওয়ার রাস্তাটা নিজেদের থেকেও বেশি নির্ভর করছে অন্যদের ওপর। একে তো শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিততেই হবে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডও যদি নিজেদের শেষ ম্যাচে জিতে যায় তাহলেই রাস্তাটা কঠিন হয়ে যাবে তাদের জন্য। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ডকে হারাতে হবে বড় ব্যবধানে। যেমনটা আগেই বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে আফগানিস্তানের হারের দিকে।
শ্রীলঙ্কা (৭ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট, নেট রানরেট: -১.১৬২) ও নেদারল্যান্ডস (৭ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট, নেট রানরেট: -১.৩৯৮)
দুই দলেরই অবস্থা প্রায় একই। তাদের রান রেট খুবই বাজে। তাই তাদের নিয়ে প্রত্যাশা করার লোক খুবই কম। তবুও গাণিতিকভাবে এখনো তাদের সুযোগ আছে। আর সেটা অনেকটা অসম্ভবই বলা যায়।
শ্রীলঙ্কার শেষ দুই ম্যাচ বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। নেদারল্যান্ডসের শেষ দুই ম্যাচ ইংল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে। শেষ চারে যেতে হলে দুই দলকে জিততে হবে শেষ দুই ম্যাচে। সেটাও বিশাল ব্যবধানে। একইসঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বড় হারের দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২৩
এএইচএস