ঢাকা: পাকিস্তানি স্পিনার সাঈদ আজমলকে স্পোর্টস বোর্ড অব পাঞ্জাব (এসবিপি) এর ক্রিকেট ডেভলপমেন্টের ডিরেক্টর পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাঞ্জাবের ফয়সালাবাদে জন্মগ্রহণ করা ৩৮ বছর বয়সী আজমলের মূল দায়িত্ব থাকবে তরুণ ক্রিকেটারদের উন্নতিতে সাহায্য করা এবং তৃণমূল পর্যায় থেকে ক্রিকেটার তুলে আনা।
এমন দায়িত্ব পাওয়ার পর আজমল জানান, আমি খুবই গর্বিত যে আমাকে পাঞ্জাবের ক্রিকেট বোর্ড এ ধরনের গুরুদায়িত্ব দিয়েছে। এখানকার ট্যালেন্ট তরুণ ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করতে পারবো ভেবে ভালো লাগছে।
আজমলের মূল দায়িত্ব থাকছে পাঞ্জাবের ক্রিকেট একাডেমির সুপারভাইজার হিসেবে সেখানকার গ্রাউন্ড ফ্যাসিলিটিজ নিয়ে কাজ করা, উঠতি ক্রিকেটারদের আরও কিভাবে সাহায্য করা যায় তার পরিকল্পনা করা, একাডেমির প্রসাশনিক কাজে সাহায্য করা। স্কুল-কলেজের মেধাবী ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করাও হবে আজমলের প্রধান দায়িত্বের একটি।
২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে আজমলের বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি খুঁজে পেয়েছিলেন আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড ও ব্রুস অক্সেনফোর্ড। তারই ধারাবাহিকতায় আজমলের বোলিং অ্যাকশন ছিল আইসিসির সন্দেহের তালিকায়। পরে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আজমলের বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এরপর অবৈধ বোলিং অ্যাকশন থেকে ফিরে এলেও নিজেকে আর বিশ্বমানের বোলার হিসেবে ফিরে পাননি আজমল। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিনি ছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটের স্তম্ভ। কিন্তু অ্যাকশন বদলে ফিরলেও হঠাৎই বদলে যায় সবকিছু। দল থেকে বারবার বাদ পড়তে থাকেন তিনি। বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর পর আগের সেই সাফল্য আর ধরে রাখতে পারেননি আজমল।
২০০৯ সালে টেস্টে অভিষেক হওয়া আজমল সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪ সালে সাদা পোশাকে মাঠে নামেন। ৩৫ টেস্টে ১৭৮টি উইকেট নিয়েছেন ওয়ানডেতে ১১৩ ম্যাচে ১৮৪ উইকেটের মালিক। গত বছর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে এসেছিলেন আজমল। ২০১৫’র এপ্রিলে বাংলাদেশের মাটিতে টাইগারদের বিপক্ষে তিনি সবশেষ ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ০৩ জুন ২০১৬
এমআরপি