গত অক্টোবরে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর জয়সুরিয়া তদন্তে অসহযোগিতা ও তদন্ত বাঁধাগ্রস্ত করেন বলে আইসিসি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বারবার অনুরোধ করার স্বত্ত্বেও তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় নথি বা তথ্য জমা দেননি তিনি এমনটাই অভিযোগ।
শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রধান নির্বাচক জয়সুরিয়া অভিযোগের জবাবে অবশ্য বলেছিলেন, তার ফোনে এমন কিছু ব্যক্তিগত তথ্য ও ভিডিও রয়েছে যা তিনি দুর্নীতি দমন শাখার সদস্যদের দেখাতে চাননি। সেসময় তিনি দাবি করেছিলেন যে, তিনি সবসময় খেলাধুলা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে সততা এবং স্বচ্ছতা বজায় রেখেছেন এবং ভবিষ্যতেও এমনটাই করবেন।
কিন্তু তার বক্তব্যের সঙ্গে আইসিসি’র বক্তব্য মিলছে না। আইসিসি’র দুর্নীতি দমন শাখার জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, খেলায় দুর্নীতি রোধে ধারা অনুসারে অবশ্যই অভিযুক্তকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। খেলায় বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে এই নিয়ম সবাইকেই মেনে চলতে হবে।
মার্শাল আরও জানিয়েছেন, আগামী দুই বছর কোনও রকম ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়াতে পারবেন না শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় নাম জয়সুরিয়া। এর আগে সাবেক পেসার নুয়ান জয়সাকেও দুর্নীতির অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া নতুন তদন্তে আরও ১১জন খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধেও একইরকম অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আইসিসি’র দুর্নীতি দমন শাখা।
৪৯ বছর বয়সী সাবেক লঙ্কান ‘বিধ্বংসী’ ওপেনার জয়সুরিয়া ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ১১০ টেস্ট, ৪৪৫ ওয়ানডে এবং ৩১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
এমএইচএম