হ্যামিল্টনে এর আগে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০০১ সালে নিউজিল্যান্ডের কাছে ইনিংস ও ৫২ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হতে পারে সাম্প্রতিক সময়ে অস্ট্রেলিয়ার পেস কন্ডিশনে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয় এবং শ্রীলঙ্কায় ইংল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সিরিজ জয়। তবে বাংলাদেশ যেহেতু পূর্ণশক্তির দল নিয়ে নামতে পারছে না, তাই অস্বস্তি রয়েই যাচ্ছে।
এইতো সেদিন টেস্ট র্যাংকিংয়ে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুইয়ে উঠে এসেছে কিউইরা। আর বাংলাদেশ আছে ৯-এ। তবে র্যাংকিংয়ের এই বিশাল পার্থক্য নিয়ে আনন্দে মজে যাওয়ার বদলে বাংলাদেশকে বিপজ্জনক দল বলেই আখ্যা দিয়েছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
অন্যদিকে বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জন্য পজিটিভ দিক হলো প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ধারণা থাকা। আর সাকিব-মুশফিক না থাকা বড় বাধা তাদের জন্য। রিয়াদ বলেন, ‘কালকের ম্যাচে ওকে (মুশফিক) আমরা পাচ্ছিনা। আর আগেই বলেছি যে মুশফিক এবং সাকিব দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। দলের পারফরম্যান্সে তাদের অবদান অপরিহার্য। অন্যদিকে এটা অন্যদের জন্য বড় সুযোগ। তাদের প্রস্তুত থাকা উচিত যাতে সুযোগগুলো যাতে দুহাত ভরে নিতে পারে। ’
টেস্টের আগে একমাত্র দুই প্রস্তুতি ম্যাচে রান পেয়েছেন সব ব্যাটসম্যানই। তবে দলের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। রিয়াদ আরো বলেন, ‘আমাদের জন্য সবসময়ই একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় থাকে বিদেশের মাটিতে আমরা কেমন খেলি। টেস্ট ম্যাচ জিততে পারব কি পারব না। ক্যাপ্টেন ও খোলোয়াড় হিসেবে বলছি আমাদের মধ্যে এটা কাজ করছে না। ’
‘তবে সম্প্রতি বিদেশের মাটিতে ভাল খেলেছি সেটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমরা আমাদের শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলতে চাই। এধরনের কন্ডিশনে আমরা জানি ওদের পেস আক্রমণ দারুণ হবে। এখন দেখা বিষয় হলো আমরা ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে কেমন করি। ’
সাকিবের অনুপস্থিতিতে সৌম্য সরকারকে দলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এই সিরিজ তার জন্য দলে জায়গা করে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। তামিম ইকবাল এবং মুমিনুল হকদের নিজেদের অভিজ্ঞতার মূল্য রাখতে হবে। এছাড়া শাদমান, লিটন দাস ও মোহাম্মদ মিঠুনদের মতো তরুণদের জেগে উঠার এটাই সময়।
পেস-বান্ধব পিচ হলেও বাংলাদেশকে মূলত স্পিনারদের নিয়েই এগোতে হবে। সেক্ষেত্রে মেহেদি হাসান মিরাজ দলের মূল বোলার হতে পারেন। তবে এমন পিচে মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে প্রত্যাশা থাকবে আরও বেশি। এছাড়া আবু জায়েদ ও খালেদ আহমেদের জন্য এই সিরিজ প্রত্যাশা মেটানোর বড় সুযোগ। বাকিটা মাঠেই দেখা যাবে।
বুধবার দিবাগত রাতে (২৮ ফেব্রুয়ারি) হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে দু’দল।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৯
আরএআর/এমএইচএম/এমএমএস