নিজেদের মাটিতে অবশ্য নিউজিল্যান্ডের সামনে এই রান কিছুই নয়। দিন শেষে দুই ওপেনার মিলেই তুলে ফেলে ৮৬ রান।
বাংলাদেশের বোলারদের গতানুগতিক বোলিংয়ের মুখে স্বাচ্ছন্দ্যেই ব্যাট চালান দুই কিউই ওপেনার জেট রাভাল ও টম লাথাম। দিন শেষে দুজনই অপরাজিত থাকেন ৫১ ও ৩৫ রানে।
টসে হেরে ব্যাটিংটা ভালোই শুরু করে বাংলাদেশ। তামিম-সাদমান জুটি করেন পঞ্চারোর্ধ রান। তবে সাদমান ব্যক্তিগত ২৪ রানে ফিরে গেলে ভাঙ্গে এই জুটি। একপ্রান্তে তামিম অটল থাকলেও অপর প্রান্ত থেকে শুধুই আসা যাওয়ার মিছিল।
সাদমান ছাড়া উল্লেখ করার মতো রান আসে কেবল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (২২) ও লিটন দাসের (২৯) ব্যাট থেকে।
এক কথায় ওয়ানডের মত করেই অপর প্রান্তে ব্যাট চালাতে থাকেন তামিম। ১০০ বলে ক্যারিয়ারের নবম টেস্ট সেঞ্চুরি পূরণ করেন এই বাঁহাতি ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ১২৬ রানে ফেরেন।
বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৩৪ রানে। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের দোষারোপের পরিবর্তে প্রশংসা করতে হয় নেইল ওয়াগনারের। একাই তুলে নেন ৫ উইকেট। তিনটি নেন টিম সাউদি। আর একটি করে নেন ট্রেন্ট বোল্ট ও গ্রান্টহোম।
এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হলো পেসার এবাদত হোসেনের।
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এর আগে সাদা পোশাকে কখনও জয় পায়নি বাংলাদেশ। এবার ভালো সম্ভাবনা থাকলেও ইনজুরির কারণে দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার নেই। বিশেষ করে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের অনুপস্থিতি টাইগারদের বেশ ভাবাচ্ছে।
টেস্টে বাংলাদেশ নিজেদের শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জয় পেয়েছে। বিপরীতে হেরেছে দুটিতে। অন্যদিকে কিউইরা সমান তিন জয়ের বিপরীতে একটি হার ও একটিতে ড্র করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এমকেএম