ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

ধোনির কথায় সেঞ্চুরি মিস!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
ধোনির কথায় সেঞ্চুরি মিস! ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে ধোনি-গম্ভীর

২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার মধ্যদিয়ে ২৮ বছর পর ভারত আরেকটি বিশ্বকাপ জিতেছিল। সেই বিশ্বকাপের ফাইনালে ৯৭ রান করে আউট হয়েছিলেন সাবেক টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান গৌতম গম্ভীর। কেন তিনি সেদিন ৩ রান করে সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে পারেননি, সে গল্প শুনিয়েছেন ভারতীয় গণমাধ্যমে।

ফাইনালে ভারতের অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। এক সাক্ষাৎকারে গম্ভীর তার সেঞ্চুরি মিসের গল্প করতে গিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছেন ধোনিকে।

তিনি জানালেন, ধোনির কথায় খেলা থেকে ফোকাসটা সরে যাওয়াতে সেঞ্চুরিবঞ্চিত হতে হয়েছিল।

শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৭৫ রান তাড়া করতে নেমে দলীয় ০ রানে বীরেন্দ্রর শেওয়াগ আর দলীয় ৩১ রানে শচীন টেন্ডুলকারের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত। তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নামেন গম্ভীর। ৪২তম ওভারে থিসারা পেরেরার বলে বোল্ড হন তিনি। তার আগে ১২২ বলে ৯টি চারের সাহায্যে করেন ৯৭ রান।

সেই ম্যাচে বিরাট কোহলি আউট হন ৩৫ রানে। শেষ দিকে ধোনি ৭৯ বলে আটটি চার আর তুটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৯১ রান। যুবরাজ সিং ২৪ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। ধোনির সঙ্গে পার্টনারশিপে ১০৯ রান যোগ করেন গম্ভীর।

সেদিন কেন সেঞ্চুরি হাতছাড়া করতে হয়েছিল? গম্ভীরকে এই প্রশ্ন বহুবার করা হলেও তিনি মুখ খোলেননি। এবার জানালেন, ধোনির কথায় নিজের ফোকাস সরে যাওয়াতেই সব গড়বড়ে হয়ে যায়। গম্ভীর জানালেন, ‘৯৭ রানে ব্যাট করার সময়ে কী হয়েছিল, বহুবার এই প্রশ্নটা আমাকে করা হয়েছিল। ৯৭ রানে পৌঁছনোর আগে ব্যক্তিগত রান নিয়ে আমি মাথাই ঘামাইনি। শ্রীলঙ্কার রান তাড়া করে কীভাবে ম্যাচ বের করে আনা যায় সেটাই আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। একটা ওভার খেলার পর নন-স্ট্রাইকিং প্রান্ত থেকে ধোনি এসে আমাকে বললো, আর ৩ রান করো, তাহলে তুমি সেঞ্চুরি পাবে। ’

গম্ভীরের দাবি, ধোনির সেই কথা শোনার পরে তার ফোকাস নড়ে যায়। তিনি জানান, ‘আমি ধোনির কথা শোনার পর থেকে ব্যক্তিগত রান নিয়ে সচেতন হয়ে পড়ি। যখনই ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স, ব্যক্তিগত স্কোর নিয়ে বেশি চিন্তাভাবনা করা হয়, তখনই রক্তের গতি বেড়ে যায়। আগে শ্রীলঙ্কার রান তাড়া নিয়ে ভাবছিলাম, কিন্তু ধোনির এমন কথা শোনার পর আমার নিজের রান নিয়ে মাথায় ভাবনা ঢুকে যায়। রান তাড়ার ব্যাপারটা নিয়েই যদি চিন্তাভাবনা করতাম, তা হলে হয়তো সেঞ্চুরি করেই ফিরতাম। ৯৭ রানে ব্যাট করার সময়ে আমি একটা নির্দিষ্ট পথেই ছিলাম। যেই মাথায় ঢুকে গেল ৩ রান করতে পারলেই সেঞ্চুরি পেয়ে যাব, তখনই আমার ফোকাস নড়ে যায়। সেঞ্চুরি করার তাগিদ অনুভব করতে গিয়ে আউট হয়ে যাই। ’

৮ বছর পরও অনুশোচনায় ভোগা গম্ভীর যোগ করেন, ‘আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার পথে নিজে নিজেই কথা বলছিলাম। একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়াটা খুবই জরুরি। তখন বার বার বলছিলাম, এই ৩ রান সারা জীবন আমাকে কুড়ে কুড়ে খাবে। সত্যি কথা বলতে কী, সেটাই হয়েছে। মানুষ এখনও আমাকে প্রশ্ন করে, সে দিন কেন ৩ রান করতে পারলাম না?’

ফাইনালের ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ধোনি। নুয়ান কুলাসেকারাকে ছক্কা হাঁকিয়ে সব আলো নিজের করে নেন ধোনি। ম্যাচ জিতিয়ে আর শিরোপা নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।