ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

ওয়ার্নারদের কাছে হেরে কোহলিদের বিদায়

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২০
ওয়ার্নারদের কাছে হেরে কোহলিদের বিদায় আবারও খালি হাতে ফিরছেন কোহলিরা/ছবি: সংগৃহীত

এবারের আইপিএলে সবমিলিয়ে ৮ ম্যাচে হেরেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তবে শেষ পরাজয়টাই আসল সর্বনাশ করল।

২০১৬ সালে একবার ফাইনালে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর, আবারও কাছাকাছি গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হলো দলটিকে। এবার এলিমিনেটর রাউন্ড থেকেই কোহলিবাহিনীকে বিদায় করে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।  

শুক্রবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এলিমিনেটর রাউন্ডের ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে হায়দরাবাদ। শুরুতে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান তুলেছিল বেঙ্গালুরু। জবাবে ২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় হায়দরাবাদ।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ওপেনার শ্রীভাতস গোস্বামীর (০) উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। এরপর মনিশ পান্ডেকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দেন অধিনায়ক ওয়ার্নার। সাবধানী ব্যাটিং করেও অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এই অজি ওপেনার। বেঙ্গালুরুর পেসার সিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ১৭ রান। মনিশ পান্ডেও (২৪) ইনিংস দীর্ঘ করতে পারেননি।

৫৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা হায়দরাবাদকে পথে দেখাচ্ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। মাঝে প্রিয়ম গার্গ ৭ রান করে আউট হলেও জেসন হোল্ডার এসে হাল ধরেন। উইলিয়ামসন ও হোল্ডারের অবিচ্ছিন্ন জুটিই শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। ৪৪ বলে অপরাজিত ৫৫ রানের দারুণ ইনিংস উপহার দিয়ে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন কিউই অধিনায়ক। আর হোল্ডার খেলেন ২০ বলে ২৪ রানের কার্যকরী ইনিংস।

এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানেই দুই ওপেনার বিরাট কোহলি (৬) ও দেবদূত পাডিক্কালের (১) উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। দুটি উইকেটই যায় হোল্ডারের ঝুলিতে। পরে শিভব দুবের উইকেটও নেন এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচ করে বড় ভূমিকা রাখেন আফগান স্পিনার রশিদ খান।

দলের বাকিদের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝে ব্যতিক্রম ছিলেন বেঙ্গালুরুর এবি ডি ভিলিয়ার্স ও অ্যারন ফিঞ্চ। দুজনে মিলে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিয়েছিলেন। তবে দলকে ৫৬ রানে রেখে নাদিমের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন অজি অধিনায়ক (৩২)। অন্যপ্রান্তে একাই রানের চাকা সচল রাখার কাজ চালিয়ে যান ডি ভিলিয়ার্স। বাকিরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলে চাপে পড়ে একসময় তিনিও বিদায় নেন। তবে ১৮তম ওভারের শেষ বলে বিদায়ের আগে ৪৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।

লিগ পর্বে নিজেদের ১১তম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হার দিয়ে শুরু। এরপর থেকেই বেঙ্গালুরুর টানা পরাজয়ের শুরু। ফলে টানা ৪ ম্যাচে হেরেও আগে পাওয়া জয়গুলোর কারণেই চতুর্থ স্থানে থেকে প্লে-অফে জায়গা পেয়েছিল দলটি। তবে প্রতিবারের মতো এবারও স্বপ্ন ভাঙল তাদের। সুপার ম্যান ডি ভিলিয়ার্স এখনও আগের মতোই বিধ্বংসী রূপেই আছেন, কিন্তু কোহলির ফর্মের উত্থানপতন দলটির অপেক্ষা আরও বাড়ালো।

অন্যদিকে হায়দরাবাদের ক্ষেত্রে ঘটনা ঠিক উল্টো। এই নিয়ে টানা চার ম্যাচে জিতল দলটি। এই চার ম্যাচে একবারও ভুল পথে পা বাড়াননি ওয়ার্নাররা।  
বেঙ্গালুরুকে বিদায় করে দেওয়া ম্যাচে ডি ভিলিয়ার্সের জবাবে দাঁড়িয়ে যান দলটির উইলিয়ামসন। বেঙ্গালুরুকে টেনে নেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছেন ডি ভিলিয়ার্স, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে কিউই অধিনায়কের ইনিংস।  

রোববার (৮ নভেম্বর) ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের মোকাবিলা করবে হায়দরাবাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২০
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।