চট্টগ্রাম: নগরের পাহাড়তলী থানাধীন মুরগি ফার্ম আলম তারারপুকুর পাড় থেকে শিশু আবিদা সুলতানা আয়নী (১০) এর গলিত মরদেহ উদ্ধার করার ঘটনায় সন্দেহজনক হিসেবে এক সবজি বিক্রেতাকে আটক করা হয়েছে।
আটক মো.রুবেল নগরের পাহাড়তলী থানাধীন কাজির দিঘী ডা. নজির বাড়ির মৃত আব্দুল নূরের ছেলে।
পাহাড়তলী থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আয়নী’র মা গার্মেন্ট শ্রমিক। বাবাও গার্মেন্ট শ্রমিক হিসেবে ঢাকায় থাকেন। স্থানীয় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী আয়নী। তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে জানা গেছে- ২১ মার্চ আয়নী বিড়াল ছানা আনতে ওই সবজি বিক্রেতার কাছে গিয়েছিল। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো’র পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে বলেন, শিশুটির বাসার পাশের সবজি বিক্রেতাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডোবা থেকে শিশুটির বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। আটক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইখতিয়ার উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আয়নীকে হত্যার পর ওইদিন রাত নয়টার দিকে বস্তায় ভর্তি করে তরকারির গাড়িতে ত্রিপল দ্বারা আবৃত করে মুরগী ফার্ম বাজার এলাকায় তারা পুকুরের ডোবায় ফেলে আসে। রাত দশটার দিকে আয়নীর পরিহিত কাপড়, পায়জামা ও স্যান্ডেল কনকা সিএনজি স্টেশনের দক্ষিণ পাশের নালায় ফেলে দেয়। ২১ মার্চ থেকে প্রতিদিন রুবেল ডোবার কাছে গিয়ে মরদেহের অবস্থা দেখতো এবং খড় দিয়ে বস্তাটি লোকজনের দৃষ্টির আড়াল করতে ঢেকে দেয়।
বুধবার ভোরে ডোবা থেকে আয়নীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আয়নীর কালো একটি গেঞ্জি, এক জোড়া স্যান্ডেল, একটি কালো পায়জামা ও একটি গাড় নেভী ব্লু-রংয়ের হিজাব উদ্ধার করা হয়েছে। আয়নীকে ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার আশঙ্কায় গলা টিপে হত্যা করে রুবেল। তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
এমআই/টিসি