চট্টগ্রাম: তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের লক্ষ্যে দৃষ্টি চট্টগ্রাম এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইস্পাহানি দৃষ্টি ব্রেইনস্টর্মিং বিজনেস আইডিয়া কনটেস্ট।
শনিবার (২৭ মে) নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার ১২ তম আসরের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ‘ফ্রি লিভিং’।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের প্রান্তিক এলাকার কৃষি উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের একই প্লাটফর্মে এনে কৃষি ব্যবস্থাপনা ও পণ্যের বাজারজাতকরণকে আরও সহজ ও দ্রুত করার অভিনব ধারণা উপস্থাপন করে শিরোপা জিতে নেয় টিম ফ্রি লিভিং। যে আইডিয়া কৃষকের আর্থিক নিরাপত্তা ও ভোক্তার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় রানার্সআপ হয়েছে যথাক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ফনিক্স, টিম মাউন্টেন ও চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির টিম ইরিগমাস ডুয়ালিটি।
দৃষ্টি চট্টগ্রাম এর সভাপতি সাইফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে গ্রান্ড ফিনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ওয়াশিকা আয়শা খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান, ইস্পাহানী গ্রুপের উইং ম্যানেজার মো. নুর নবী।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ বকুল, সহ সভাপতি বন কুসুম বড়ুয়া নুপুর, শহিদুল ইসলাম, সাবের শাহ, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না, যুগ্ম সম্পাদক কাজী আরফাত, রিদোয়ান আলম আদনান ও প্রতিযোগিতার সমন্বয়কারী সাখাওয়াত হোসেন মজুমদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ ওয়াশিকা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনের জন্য তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোকে উৎসাহ ও পৃষ্ঠপোষকতা দানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে তাদের হাত ধরেই৷ সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও উদ্যোক্তা তৈরিতে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম ছাড়া বাংলাদেশকে কল্পনা করা যায় না। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নির্ভর করছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের উন্নয়নের উপর। তরুণদের নিয়ে চট্টগ্রামে সৃষ্টিশীল এমন বিজনেস আইডিয়া প্রতিযোগিতার প্রশংসা করে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার আহ্বান জানান তিনি৷
শুভেচ্ছা বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও দৃষ্টি চট্টগ্রাম এর নির্বাহী সদস্য ড. আদনান বলেন, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রয়োজন বিনিয়োগ। তরুণ উদ্যোক্তাদের নিত্যনতুন আইডিয়া ও স্টার্টআপ যত বেশি বাড়বে তত বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং তরুণদের মাঝে হতাশা দূর হয়ে আশার সঞ্চার হবে। তাই বিজনেস আইডিয়ার মত প্রতিযোগিতা নিয়মিত ও বড় পরিসরে আয়োজনের কোন বিকল্প নেই।
ইস্পাহানি গ্রুপের উইং ম্যানেজার (মার্কেটিং) মো. নুর নবী বলেন, তারা বাণিজ্য দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছুকে দেখেন না। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে যেকোন সৃজনশীল উদ্যোগকে সবসময় সমর্থন দিতে প্রস্তুতি ইস্পাহানি গ্রুপ। এ ধরনের আয়োজন দেশের উন্নয়নের গতিপথ নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে, যোগ করেন তিনি।
ফাইনাল পর্বের বিচারকার্য পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মো. আবদুল্লাহ মামুন, একুশে টেলিভিশনের আবাসিক সম্পাদক রফিকুল বাহার, কনফিডেন্স সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন আহমেদ, র্যানকন গ্রুপের প্রধান নির্বাহী তানভীর শাহরিয়ার রিমন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুস্তাক ইবনে আইয়ুব।
ইস্পাহানীর পাশাপাশি এই প্রতিযোগিতায় সহযোগিতায় রয়েছে র্যাংকস এফসি প্রোপ্রাইটিস। এবারের প্রতিযোগিতায় ৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ টি দল অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
এমআর/টিসি
