চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খানম এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ বছর ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে যে জায়গায় উত্তীর্ণ করেছেন এতে বিশ্ববাসী প্রশংসার বন্যায় আমাদের নেত্রীকে ভাসিয়েছেন। একটি অনুন্নত ও গরীব দেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
রোববার (২৮ মে) বিকেলে লালদিঘী মাঠে জামায়াত-বিএনপির অরাজকতা ও নাশকতার বিরুদ্ধে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজিজ-জহুর-হান্নান-মহিউদ্দিন’র চট্টগ্রাম কখনো পরাজয় মানেনি মানবে না জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খানম বলেন, বিপ্লবের তীর্থ চট্টগ্রাম এম.এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম. এ হান্নান ও চট্টলবীর এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চট্টগ্রাম। এই মাটি কখনো পরাভব মানেনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমার এই ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে প্রথম প্রকাশ্যে জনসভায় বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা জনগণের সামনে উপস্থাপিত করেছিলেন। যারা স্বাধীনতা চায়নি এবং এখনো পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখছে এই মাটি থেকেই তাদের মরণযাত্রা শুরু হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগে আর কেউ অপরিহার্য নয়। তিনিই একমাত্র নেত্রী এবং আমরা সকলেই তার বিশ্বস্ত কর্মী। এটাই আমাদের অহংকার ও গর্ব। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং ষড়যন্ত্র হবেই, তবে কোনো ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে নিচিহ্ন করতে পারেনি, বরং যারা আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিতে চেয়েছে তারাই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ সকল সময় অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং সব ধরনের প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে সত্য সুন্দর, কল্যাণ ও প্রগতিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আজকের এই জনসভায় সর্বস্তরের দেশপ্রেমিক জনগণের উপস্থিতির মাধ্যমে জানান দিতে চাই কোনো শক্তি আওয়ামী লীগকে রুখতে পারবে না। যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর হুমকি দিয়েছে তাদেরকেই কবরে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমরা অনেক সহ্য করেছি আর সহ্য করবো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়া মাত্রই আমরা ডাইরেক্ট অ্যাকশন এ যাবো। মনে রাখতে হবে এটা ১৯৭৫ সাল নয় এটা ২০২৩ সাল। আগামী বছর জানুয়ারীতে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেই নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য এখন থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী ও শফিকুল ইসলাম ফারুকের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, এম. জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, উপদেষ্টা সফর আলী, এম.এ লতিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ এমপি, শফিক আদনান, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, দিদারুল আলম চৌধুরী ও নির্বাহী সদস্য আব্দুল লতিফ টিপু প্রমুখ।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ।
সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের ১৫টি থানা, ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
এমআই/পিডি/টিসি