ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে কর্মবিরতিতে রেলওয়ে শ্রমিকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে কর্মবিরতিতে রেলওয়ে শ্রমিকরা ...

চট্টগ্রাম: চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে বন্দরে রেলওয়ের সিজিপিওয়াই শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। এসময় পণ্যবাহী ট্রেন নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে যায়নি।

এর আগে অস্থায়ী শ্রমিকদের সব সংগঠনের নেতারা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আলোচনা সভা করেন। পরে তারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মবিরতি পালন করেন। পরে কেন্দ্রের নির্দেশে তারা কর্মবিরতি থেকে সরে আসেন।  

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, রেলওয়ের জনবল সংকটের কারণে শূন্যপদের বিপরীতে অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে তাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন। অস্থায়ী শ্রমিকেরা রোদ-বৃষ্টি ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২৫–২৬ বছর বয়সে তাঁরা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর ৩ থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করে আসছেন। অস্থায়ী শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন দপ্তরে গেটকিপার, ওয়েম্যান, খালাসি, পি-ম্যান, অফিস সহকারী, ক্যারেজ খালাসি, বেয়ারা ও পোর্টার পদে নিয়োজিত আছেন। তাঁদের এখন যে বয়স, তাতে অন্য কোথাও যাওয়ার সুযোগ নেই।  

অস্থায়ী শ্রমিক হওয়ার কারণে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, এখন যদি তাঁদের বাদ দেওয়া হয় তাহলে মৃত্যুবরণ করা ছাড়া উপায় নেই। চাকরি হারানোর ভয় নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা। এখন রেলওয়েতে আউটসোর্সিং খাতে শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এতে অস্থায়ী শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তাই আউটসোর্সিং খাত বাতিল করার দাবি জানানো হয়। আর তাঁদের আত্মীকরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

রেলওয়ে শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রেলওয়েতে বর্তমানে ৬ হাজার ৭২৯ জন অস্থায়ী শ্রমিক আছেন। বিভিন্ন সময় আশ্বাস দেওয়া হলেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। রেলওয়ে একটি টেকনিক্যাল ডিপার্টমেন্টে বর্তমানে কর্মরত সব অস্থায়ী শ্রমিকই দক্ষ। তাদের বাদ দিয়ে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়া চালু হলে রেলওয়ে হাজারো দক্ষ শ্রমিক হারাবে, তাই আমাদের এই কষ্টের কথা ও অধিকার নিয়ে এবার চাকরি স্থায়ী করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পরে রেলমন্ত্রী, রেলওয়ে মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেন তাঁরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক নেতা শফিকুর রহমান, মোহাম্মদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, মো. শাওন, আশরাফুল, জসিমউদদীন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।