ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা কখনও বন্ধ করিনি’

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চেষ্টা কখনও বন্ধ করিনি’

বিশ্বকাপ! কার না স্বপ্ন থাকে এই সোনালী ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে? লিওনেল মেসিও তার ব্যতিক্রম নয়। ৩৬ বছর পর অবশেষে দেশকে এনে দিতে পেরেছেন সেই ট্রফি।

মেতেছেন উচ্ছ্বাসে। গতকাল দেশটির লাখো সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ছাদখোলা বাসে শহর ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা।

এর আগে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে যান বিশ্বকাপ জেতা তারকারা। সেখান থেকেই যাত্রা শুরু হয় বুয়েনস এইরেসের কেন্দ্র ওবেলিসো স্মৃতিস্তম্ভের দিকে। স্বপ্নের বিশ্বকাপের সঙ্গে স্বপ্নের এই যাত্রায় যাওয়ার আগে ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন বার্তায় মেসি তুলে ধরেছেন শৈশব থেকে এই পর্যায়ে আসাসহ দেশটির কিংবদন্তি ও মানুষদের কথা।

বিশ্বকাপ জয়ের জন্য মেসির প্রচেষ্টা কোনো অংশ থেকেই কম ছিলো না। ২০১৪ সালে খুব কাছে গিয়েও শিরেপা জেতা হয়নি তার। তারপরও হাল ছাড়েননি; দুর্দান্ত মেসি অবশেষে ঠিকই জিতে নিলেন এই সোনালী ট্রফি। এই যে বিশ্বকাপ জেতার এই স্বপ্ন এবং তা পূরণ করার চেষ্টা, এগুলো কখনও বন্ধ রাখেননি সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা।  

তিনি বলেন, ‘গ্রান্দোলি থেকে কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রায় ৩০ বছর কেটে গেছে। প্রায় তিন দশকের এই সময়ে ফুটবল আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে, কিছু দুঃখও দিয়েছে। সবসময়ই আমার স্বপ্ন ছিল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার, আমি চেষ্টা করা বন্ধ করতে চাইনি, এমনকি কখনও এমন কিছু নাও অর্জন করতে পারি- এটা জানার পরও। ’

শুধু যে নিজের স্বপ্নপূরণের কথা বলেছেন তা নয়, মেসি লিখেছেন আগের ফুটবলারদের সেই আক্ষেপের কথাও, ‘এই ট্রফিটি আমরা জিতেছি তাদের জন্যও, যারা আগের বিশ্বকাপগুলিতে এটি অর্জন করতে পারেননি, যেমন ২০১৪ সালে ব্রাজিলে। সেবারও প্রত্যেকের এটি প্রাপ্য ছিল, কারণ তারা ফাইনাল পর্যন্ত লড়াই করেছিল, কঠোর পরিশ্রম করেছিল এবং জিততে চেয়েছিল, ঠিক আমি যতটা পরিশ্রম করেছিলাম ও চেয়েছিলাম... অমন বাজেভাবে শেষ হওয়া ফাইনালেও আমাদের ট্রফিটি প্রাপ্য ছিল। ’

মেসি মনে করতে ভুলেননি দেশটির কিংবদন্তি প্রয়াত ডিয়েগো ম্যারাডোনাকেও। কোচিং স্টাফসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দিয়েগোর (মারাদোনার) জন্যও, যিনি স্বর্গ থেকে আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। এই সাফল্য তাদের সকলের জন্য, যারা সবসময় ফলাফলের দিকে না তাকিয়ে জাতীয় দলের পাশে থেকেছে, আমাদের চেষ্টা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান দেখিয়েছে, এমনকি যখন সবকিছু চাওয়া অনুযায়ী হয়নি তখনও…আর অবশ্যই কোচিং স্টাফ এবং জাতীয় দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য, যারা আমাদের জন্য সবকিছু সহজ করতে দিনরাত কাজ করেছেন। ’

সবশেষে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মেসি বলেন, ‘ব্যর্থতা অনেক সময় যাত্রা এবং শেখার অংশ। হতাশা, ব্যর্থতা ছাড়া সাফল্য পাওয়া অসম্ভব। হৃদয় থেকে সবাইকে অনেক ধন্যবাদ! চলো আর্জেন্টিনা এগিয়ে যাই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।