ব্রুনাই ও সিশেলসকে নিয়ে অনুষ্ঠেয় তিন জাতি টুর্নামেন্টের জন্য হাভিয়ের কাবরেরা ২৭ জনকে ক্যাম্পে ডেকেছেন। সেখানে নতুন মুখ তিন জন- আবাহনীর মিডফিল্ডার আলমগীর মোল্লা, ফর্টিস একাডেমির মিডফিল্ডার মজিবুর রহমান জনি ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ।
দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন মিডফিল্ডার রবিউল হাসান। এছাড়া ডিফেন্ডার তপু বর্মণ, গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল, মিতুল মারমা ও স্ট্রাইকার আমিনুর রহমান সজীবও আছে। সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোর ম্যাচ থেকে বাদ পড়েছেন ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত, আতিকুর রহমান ফাহাদ ও গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম রানা।
আগামী ২০ মার্চ সিলেটে শুরু হবে তিন জাতি ফুটবল টুর্নামেন্ট। স্বাগতিক বাংলাদেশ খেলবে ব্রুনাই দারুস সালাম ও সিশেলসের বিপক্ষে।
তিন নতুন মুখ নিয়ে দারুণ আশাবাদী জাতীয় দলের কোচ কাবরেরা। তিনি বলেন, ‘গোলরক্ষক হিসেবে শারীরিকভাবে শ্রাবণ ফিট, যদিও পরিপক্কতা আসতে তার সময় লাগবে, জিকো এবং সোহেল তার চেয়ে বেশ সিনিয়র, কিন্তু সে লিগে ভালো করেছে, জাতীয় দলের জন্য সে সম্ভাবনায়। ’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘জনিও চমৎকার, তরুণ, বয়সভিত্তিক সাফে সে ভালো করেছে। বাফুফের এলিট একাডেমিতে ছিল। ফর্টিসের হয়ে সে সবকিছু করেছে। সুশান্ত ত্রিপুরার চোটের কারণে আবাহনীর শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়েছিল আলমগীর এবং সে সুযোগটা নষ্ট করেনি। আমরাও দেখতে চাই, সে জাতীয় দলকে কী দিতে পারে। ’
২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ খেলতে বাংলাদেশে এসেছিল সিশেলস। সেবার ফিলিস্তিনের কাছে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় তারা। বর্তমানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৯৯তম দলটির বিপক্ষে প্রথম এবং সবশেষ ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কায় মহিন্দা রাজাপক্ষে টুর্নামেন্টে দেখা হয়েছিল বাংলাদেশের, ১-১ ড্র হয়েছিল ম্যাচটি।
২৭ জন ফুটবলারের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ জন বসুন্ধরা কিংসের। এরপর ঢাকা আবাহনীর ৪ জন।
প্রাথমিক দল
আনিসুর রহমান, তারেক কাজী, সাদ উদ্দিন, রিমন হোসাইন, বিশ্বনাথ ঘোষ, টুটুল বাদশা, তপু বর্মণ, মাশুক মিয়া, সোহেল রানা, রাকিবুল হোসেন, সুমন রেজা, মতিন মিয়া, সাদিদুল ইসলাম, আলমগীর মোল্লা, রহমত মিয়া, সোহেল রানা, ফয়সাল আহমেদ, এলিটা কিংসলে, জামাল ভূঁইয়া (অধিনায়ক), হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, মোহাম্মদ ইবরাহিম, মিতুল মারমা, মজিবুর রহমান, মেহেদী হাসান শ্রাবন, আমিনুর রহমান, ইমন শাহরিয়ার ও রবিউল হাসান।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৩
এআর/এএইচএস