ঢাকা: শনিবার ও রোববার সকাল মিলে মোট ৪টি খেলা ছিলো বিশ্বকাপের তৃতীয় দিনে। বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য এক নজরে এ চার ম্যাচের ফলাফল তৈরি করেছে বাংলানিউজ ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক টিম।
কলম্বিয়া-গ্রিস
শনিবার দিনগত রাত ১০টায় ২০তম বিশ্বকাপ আসরের তৃতীয় দিনে 'সি' গ্রুপের প্রথম ম্যাচে কলম্বিয়া ৩-০ গোলে গ্রিসকে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে।
এ ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিটই ছিলো এক প্রকার কলম্বিয়ান আধিপত্য।
এ দিন খেলা শুরুর ৬ মিনিটের মাথায় গ্রিসের জালে বল পাঠিয়ে কলম্বিয়া। হুয়ান গুইলার্মো কুয়াদ্রাদোর বাড়ানো পাস থেকে দলের ৭ নাম্বার জার্সি পরিহিত পাবলো আরমেরোর বাম পায়ের এক জাদুর শটে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম দ্রুত সময়ের গোলটি হয়।
এরপর পাল্টাপাল্টি আক্রমণের মধ্যদিয়ে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে কলম্বিয়া।
দ্বিতীয়র্ধের শুরুতে ৫৭ মিনিটের মাথায় দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলে করেন ৯ নাম্বার জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় টিওফিলো গুটিয়েরেজ।
২-০ তে এগিয়ে থেকে পর পর কয়েকটা সুযোগ আসে ব্যবধানটা আরো বাড়িয়ে দেওয়ার। তবে সুযোগের পূর্ণ ব্যবহার ঘটে খেলা শেষ হওয়ার একদম ৮০ সেকেন্ড আগে। এতে ব্যাবধান বেড়ে ৩-০ গোলে পৌঁছে যায়।
উরুগুয়ে-কোস্টারিকা
শনিবার দিনগত রাত ১টায় তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম প্রথমার্ধে ১-০ গোল ব্যবধানে পিছেয়ে থাকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করতে নেমে যেন বদলে যাওয়া কোস্টারিকাকে পায় সারা ফুটবল বিশ্ব।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের মোট ৫৪ ও ৫৭ মিনিটে পরপর দু'টি অসাধারণ গোলে দলকে এগিয়ে নেন কোস্টার তারকা জোয়েল ক্যাম্পবেল ও অস্কার ডুয়ার্ট। এতে তাদের ব্যবধান দাঁড়ায় ২-১ গোলে।
এরপর তাদের জয়ের ব্যবধান আরো বাড়াতে খেলা শেষের ঠিক ৬ মিনিট আগে কোস্টারিকার গোল উৎসবে মার্কোস উরেনা অংশগ্রহণ করলে শূন্যে ভাসেন কোস্টারিকার সব সমর্থকরা।
মার্কোসের অসাধারণ কিকে উরুগুয়ের গোলরক্ষককে এক প্রকার বোকা বানিয়ে বল জালে পাঠিয়ে তাদের কাটা গায়ে নুনের ছিটা মারেন মার্কোস উরেনা।
আর এ জয়ে ফিফা র্যাংকিয়ে ২৮ নম্বর দলের কাছে রীতি মতো লজ্জার হার মেনে নিলো ফিফা র্যাংকিয়ে ৮ নম্বর দল ও আর্জেন্টিনার সমান দুইবার বিশ্বকাপ জয়ী উরুগুয়ে।
ইংল্যান্ড-ইতালি
শনিবার দিনগত রাত ১টায় ২০তম বিশ্বকাপের তৃতীয় দিনের সবেচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ফেভারিট ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইতালি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ম্যাচে আসলে কোনো ফেভারিট না থাকলেও তারা ইংল্যান্ডকে এগিয়ে রাখেন। তবে এ দিন সব দিক দিয়ে তারা ইতালির থেকে পিছিয়ে শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
তবে ম্যাচে দু’দলের খেলাতেই ছিলো অত্যন্ত গতিময় ছন্দ।
এ দিন প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অর্থাৎ ম্যাচের ৫০ মিনিটে সমতা থেকে এগিয়ে যায় ইতালি। ম্যাচের ৫০ মিনিটে ইতালির এগিয়ে যাওয়ার গোলটি করেন দলের সেরা তারকা মারিও বালোতেল্লি।
এর আগে ইংল্যান্ড-ইতালি ম্যাচে ১-১ গোলে প্রথমার্ধ শেষ হয়। প্রথমার্ধে খেলার ৩৪ মিনিটে ইতালির পক্ষে ম্যাচের প্রথম গোল আসে ক্লডিও মারসিজিও। তারপর ঠিক তার ৩ মিনিট পর খেলার ৩৭ মিনিটে ইংল্যান্ডের হয়ে ড্যানিয়েল স্টুরিজ গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন।
জাপান-আইভরিকোস্ট
শনিবার দিনগত রাত পার করে রোববার সকাল ১০টায় জাপান-আইভরিকোস্টের খেলায় শুরু থেকে দারুন ফুটবল খেলছিলো এশিয়ার প্রতিনিধি জাপান। সেই ধারাবাহিকতায় তারা ম্যাচের ১৬ মিনিটে ৪৪ হাজার দর্শকের সামনে জাপানের পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন কেইসুক হোন্ডা। এরপর প্রথমার্থে আর কোনো গোল আসেনি।
প্রথমার্ধে জাপান ১-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও খেলার ৬৪ ও ৬৬ মিনিটে পরপর দুই গোল করেন উইলফ্রাইড বনি ও শিনজি কাগাওয়ার। ফলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় আইভরিকোস্ট এবং শেষ পর্যন্ত জাপান আর গোল শোধ করতে না পারলে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ ম্যাচটির জয় পায় দ্রগবার আইভরিকোস্ট।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১৪