ঢাকা: মাত্র ৫ দিনের ব্যবধানে জার্মানি ও হল্যান্ডের কাছে বাজেভাবে হেরে মুদ্রার ওপিঠ দেখলেও দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেবেন না বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের কোচ লুইস ফেলিপ স্কলারি।
ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে সেমিফাইনালে ৭-১ গোলে জার্মানির কাছে লজ্জাজনক হারের পর থেকেই তার পদত্যাগের বিষয়টি ডালপালা মেলতে থাকে।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে হল্যান্ডের সাথে ৩-০ গোলে পরাজিত হলে তার পদত্যাগের বিষয়টি আরো চাউর হয়ে ওঠে।
এসব হারের দায়-দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেও পদত্যাগ করতে রাজি নন ২০০২ এ ব্রাজিলকে পঞ্চম শিরোপা এনে দেওয়া এই কোচ।
তবে তিনি জানিয়েছেন, তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন।
২০০২ সালের পর থেকে দেশের মাটিতে ব্রাজিল কোনো ম্যাচ হারেনি। এছাড়া ১৯৭৫ এর পর থেকে ব্রাজিলে আয়োজিত টুর্নামেন্টে দলটি অপরাজেয় ছিল।
কিন্তু নিজ দেশে আয়োজিত ২০তম বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইতিহাসের সবচেয়ে করুণ হারের স্বাদ পায় তার দল। এতে ভক্তরা স্কলারির কৌশল নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন ও মিডিয়ায় স্কলারির পদত্যাগের বিষয়টি সামনে চলে আসে।
কিন্তু একগুঁয়ে স্বভাবের স্কলারি বিষয়টি পাত্তা না দিয়ে হল্যান্ডের সাথে হারের পর মিডিয়াকে বলেন, তিনি পদত্যাগ করছেন না। যা সিদ্ধান্ত নেবার তা ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন নেবে।
স্কলারি বলেন, এটা একটা ভারসাম্যপূর্ণ খেলা ছিল। ছেলেরা যেভাবে খেলেছে তা প্রশংসনীয়। আমরা খারাপ খেলিনি, এটাই আমার মত।
দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা নিয়ে কথা বলার সময় এখন নয়। আমি আমার সব রিপোর্ট একত্র করেছি। এটা সিবিএফ’র প্রেসিডেন্টের কাছে জমা দেব। তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি ভবিষ্যতে কি চান।
আমরা আরও একটা ম্যাচ হেরেছি, কিন্তু জীবন চলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, এক বছর আগেই আমরা কনফেডারেশন কাপ জিতেছি। আসলে কোচের এখানে করণীয় কিছু নেই। আমাদের দলটা তরুণ। আর আমরা অনেক ফুটবলার তৈরি করছি না। সুতরাং নতুন কোনো কোচ এসে দলকে পুনঃউপযোগী করে তোলা খুব সহজ নয়।
ষষ্ঠবারের মতো ব্রাজিলকে বিশ্বকাপ এনে দিতে নেইমারদের দায়িত্ব দেওয়া হয় স্কলারিকে। গত বছর কনফেডারেশন কাপ জিতিয়ে শিষ্যদের তৈরিও করেন তিনি। বিশ্বকাপের শুরু থেকে প্রতিটি ম্যাচেই উন্নতি করছিল তার দল। কিন্তু সেমিফাইনালে নেইমার-সিলভা বিহীন ব্রাজিল জার্মানির কাছে ৭ গোল খেয়ে ছিটকে পড়ে। পরে ব্যর্থতার দায়ভার স্বীকার করেন স্কলারি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৪