ঢাকা: মাসব্যাপী বিশ্ববাসীকে ফুটবল আনন্দে মাতানো বিশ্বকাপের পর্দা নামতে যাচ্ছে ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রায় ৭৫ হাজার দর্শক ছাড়াও সারাবিশ্বের ৩শ’ কোটি মানুষ টেলিভিশনের মাধ্যমে আর্জেন্টিনা-জার্মানির খেলাটি একযোগে দেখবে।
এস্তাদিও জার্নালিস্তা মারিও ফিলহো নামে স্টেডিয়ামটি ১৯৫০ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের জন্যই নির্মিত হয়। পরে সারাবিশ্বের কাছে এটি মারাকানা স্টেডিয়াম নামেই পরিচিতি পায়।
নির্মাণের সময় ২ লাখ দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মারাকানাই ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম। তবে এবারের বিশ্বকাপ উপলক্ষে সৌন্দর্য বর্ধন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সংস্কার কাজের পর ধারণ ক্ষমতা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৭ শ’ ৩৮ জনে। তবে নতুন করে সাজানো মারাকানায় পুরনো স্টেডিয়ামটির আদলে একটি সুভেনির তৈরি করে রাখা আছে দর্শনার্থীদের জন্য।
১৯৫০ সালের ফাইনালে এ স্টেডিয়ামেই উরুগুয়ের কাছে পরাজিত হয়ে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন চূর্ণ হয় ব্রাজিলের। এরপর থেকেই ব্রাজিলকে মারাকানার ভূত তাড়িয়ে ফিরছে বলে মনে করে ব্রাজিলবাসী। এবার নিজ দেশে আয়োজিত বিশ্বকাপের মারাকানা ফাইনালে পৌঁছাতেই পারেনি ব্রাজিল দল। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে রিও ডি জেরিনোতে আসা টুরিস্টদের মনোযোগের কেন্দ্রেও থাকে মারাকানা।
রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় ব্রাজিলের ঐতিহাসিক এই মারাকানা স্টেডিয়ামেই বিশ্বকাপ ফাইনালে লড়বে ল্যাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা ও ইউরোপের ফুটবল শক্তি জার্মানি।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৪