ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮ রজব ১৪৪৬

ভারত

অবশেষে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিসৌধের জায়গা দিল মোদী সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৫
অবশেষে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিসৌধের জায়গা দিল মোদী সরকার

কলকাতা: ভারতের সাবেক বাঙালি রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য জায়গা বরাদ্দ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।  

দিল্লির রাজঘাটের রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্থলে জমি বরাদ্দ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর মন্ত্রণালয়ের তরফে।

সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে খুশি প্রণব কন্যা কংগ্রেস নেত্রী শর্মিষ্ঠা মুৃখোপাধ্যায়। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার(৭ জানুয়ারি) শর্মিষ্ঠা নিজের এক্স হান্ডেলে স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি শেয়ার করেছেন। যেটি গত পহেলা জানুয়ারি আবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তরফে তাকে দেওয়া হয়েছিল। তাতে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি তার প্রয়াত বাবার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন।

শর্মিষ্ঠা জানিয়েছন, আমরা কখনই বাবার জন্য স্মৃতিসৌধ তৈরির কথা বলিনি, কিন্তু তারপরেও প্রধানমন্ত্রীর এই ধরনের বিবেচনা সত্যিই উল্লসিত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত সত্যিকার অর্থেই অত্যন্ত সদয় এবং অত্যন্ত মুগ্ধ করেছে। শর্মিষ্ঠা তাতে আরও লিখেছন, বাবা বলতেন রাষ্ট্রীয় সম্মান চাওয়া উচিত নয়, তা ভারত সরকারের দেওয়া উচিত। আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে প্রধানমন্ত্রী, বাবার স্মৃতিকে সম্মান জানাতে এটা করেছেন।

২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের ১৩ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তার আগে ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ২০০৬ থেকে ২০০৯ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ভারতের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। দীর্ঘ পাঁচ দশকে তার রাজনৈতিক জীবন ছিল বর্ণময়। এছাড়া জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৯ সালে ভারতরত্ন সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল তাকে।

১৯৩৫ সালের ১১ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মিরাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কিন্তু বাবার প্রয়াণের পর কংগ্রেস দলের অবস্থান নিয়ে বারে বারে সোচ্চার হয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। কংগ্রেসের সাথে কয়েক দশক প্রণবের সম্পর্ক থাকলেও তার মৃত্যুর পরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি) একটি শোক প্রস্তাব পাস করার জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক সভা ডাকেনি। যা নিয়ে কংগ্রেসের সাথে অনেকটাই দুরত্ব তৈরি হয়েছে তার পরিবারে।

কয়েকদিন আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এর মৃত্যুর পর তার স্মৃতিসৌধ নির্মাণ তৈরির আর্জি জানানো হয়েছিল কংগ্রেসের তরফে। গত ২৬ ডিসেম্বর দিল্লির এইমস হাসপাতালে মৃত্যুর দুইদিন পরই দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে ওই স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি জানানোর পরই তা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই বিতর্কের মধ্যেই প্রণবে স্মৃতিসৌধ তৈরির সিদ্ধান্তের কথা জানাল কেন্দ্রীয় সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, ৮ জানুয়ারি ২০২৫
ভিএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।