ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সূর্যের দেখা মেলায় স্বস্তি মাদারীপুরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৩
সূর্যের দেখা মেলায় স্বস্তি মাদারীপুরে

মাদারীপুর: গত দুই দিনের তীব্র শীতের পর রোববার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সূর্যের দেখা মেলায় স্বস্তি দেখা দিয়েছে জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে। শীত কিছুটা কম থাকায় দুপুরের দিকে সড়ক-মহাসড়কে ভ্যান-ইজিবাইক নিয়ে বের হতে দেখা গেছে অনেককে; ফসলের মাঠেও কাজে নেমেছেন কেউ কেউ।

টানা দুই দিন পর রোববার দুপুর ১টার দিকে কমে আসে কুয়াশা। কুয়াশা ভেদ করে দেখা মেলে রোদের। গত কয়েকদিনের তুলনায় রোববার হিমেল হাওয়া না থাকায় শীত একটু কম রয়েছে।

জানা গেছে, গত ৩ জানুয়ারি থেকে তীব্র শীত পড়তে শুরু করে জেলা জুড়ে। একই সঙ্গে প্রতিদিনই গাঢ় কুয়াশায় ঘিরে থাকে চারপাশ। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরের পর সূর্যের দেখা কিছু সময়ের জন্য মিললেও গত শুক্র ও শনিবার (৬ ও ৭ জানুয়ারি) সারাদিনই ছিল তীব্র শীত এবং কুয়াশায় ঘেরা। সূর্য ঢাকা পড়েছিল কুয়াশার চাদরে। দুপুরের পর থেকে শীতের তীব্রতা ছিল আরও বেশি। তীব্র শীতে জেলার জনজীবনে নেমে আসে স্থবিরতা। পদ্মা-আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েন কৃষকরা। আয়-রোজগার থমকেযায় খেটে খাওয়া মানুষের। প্রায় পাঁচ দিন পর রোববার দুপুরে সূর্যের দেখা মিললে কিছুটা স্বস্তি আসে জন-জীবনে।

আবুল কাশেম নামে পাঁচ্চর এলাকার এক ভ্যানচালক বলেন, শীতের মধ্যে রোদ না উঠলে বাইরে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ে। যাত্রী পাওয়া যায় না। টানা দুই দিন পর আজ (৮ জানুয়ারি) দুপুরে রোদের দেখা মিলেছে। বেশ ভালো লাগছে।

মুরগী ব্যবসায়ী ইদ্রিস বলেন, শীতে দোকানের ৫/৬ টি মুরগী মারা গেছে। লাইট জ্বালিয়ে রেখেও পরিবেশ গরম করা যায় না। ভালোভাবে রোদ উঠলে স্বস্তি মিলতো। আজ দুপুরে আকাশ পরিষ্কার হয়েছে, রোদ উঠেছে। তীব্র শীতে ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো যাচ্ছে না।

ষাটোর্ধ্ব মনোয়ারা বেগম নামে এক নারী বলেন, নদীর পাড়ে থাকি। ঠাণ্ডা বাতাসে থাকা কষ্টকর। ঘরে শীতবস্ত্রের তেমন জোগান নেই। শীতে বয়স্কদের বেশ কষ্ট হয়। দুপুরে রোদ উঠায় ভালো লাগছে।

তীব্র শীতে সাধারণ মানুষের কষ্ট, অন্যদিকে অধিক কুয়াশার কারণে সরিষাসহ শীতকালীন ফসলেরও ক্ষতি- সব মিলিয়ে টানা শীতে জীবন-যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সমাজের দরিদ্র মানুষেরা। তবে রোববার দুপুরের দিকে সূর্য উঁকি দিলে উত্তাপ ছড়াতে থাকে প্রকৃতিতে। সূর্যের দেখা মেলায় স্বস্তি ফুটে উঠছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের মুখে। শীতের প্রকোপ কিছুটা কমবে বলে আশা তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।