ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বিস্ফোরণে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
বিস্ফোরণে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: বিচার দাবিতে মানববন্ধন নিহত মেহেদী হাসান শাওন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): রাজধানীর পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে তিতাসের গ্যাসের লাইন মেরামতের সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওনের মৃত্যুতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও শাওনের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দুপুরে এ মানবন্ধনের আয়োজন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে তিতাসের গ্যাস লাইনে দীর্ঘদিন যাবৎ লিকেজ থাকা সত্ত্বেও সেখানে ওয়াসার কাজ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আরএএলের গাফিলতির কারণেই শাওনের এই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এটাকে আমরা স্বাভাবিক মৃত্যু বলতে পারি না, এটা একটি হত্যাকাণ্ড।  

মানববন্ধনে জান্নাত মেহেবুবা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এ দুর্ঘটনার দায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। তাদের অসাবধানতার জন্য আমাদের ভাইকে হারাতে হলো। আমরা এর বিচার ও শাওনের পরিবারের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাই।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে শাওন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। টিউশন করিয়ে সে পড়ালেখার খরচ চালাতো। কিন্তু তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেই আজকে আমাদের শাওনকে হারাতে হলো। শাওন তার পরিবারের একমাত্র ছেলে। ছেলেকে হারিয়ে তার বাবা-মা এখন পাগল প্রায়। আমরা চাই শাওনের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ধূপখোলার বিস্ফোরণের  ঘটনায় আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শাওন নিহত হয়েছে। সে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চারদিন আইসিইউতে ভর্তি ছিল। চিকিৎসারত অবস্থায় শাওন মারা যায়। আসলে এ ধরনের মৃত্যু কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। আমরাও চাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করতে। মামলার জন্য সকল প্রস্তুতি আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি। আমরা শাওনের চাচার সাথে কথা বলেছি। ওর বাবা-মায়ের এনআইডি আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। কুরিয়ারের মাধ্যমে ওকালতনামা ওদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। স্বাক্ষর করে আমাদের কাছে আজই পাঠানোর কথা রয়েছে। তারপরই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করবো।

উল্লেখ্য, গত ১ মে সকালে রাজধানী পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে রাস্তায় থাকা গ্যাস লাইনে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে মেহেদী হাসানের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে যায়। তাকে সেদিন থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় গত ৬ মার্চ সকালে শাওনের মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।