নারায়ণগঞ্জ: জেলার আড়াইহাজারে একই ঘরে দুই ভাইয়ের সঙ্গে দুই বোনের বিয়ে হয়। পরে যৌতুকের টাকার জন্য দুই বোনের ওপর নির্যাতনের পর এক বোনের মৃত্যুর বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (১০ জুন) এ মামলায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একই পরিবারের সাতজনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার রাতে মামলাটি দায়ের করেছেন নিহত ফাতেমা আক্তারের (২১) বাবা লিটন মিয়া। এর আগে বুধবার (৬ জুন) উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের লেঙ্গুরদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ফাতেমার বাবার বাড়ি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায় যে, কুমিল্লার বরুড়া থানার গোপালনগর গ্রামের লিটন মিয়ার এক মেয়ে ফাতেমার বিয়ে হয়ে লেঙ্গুরদী গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে বাবুর সঙ্গে। পরে লিটন মিয়া তার আরেক মেয়ে আসমাকে (১৯) জামাতা বাবুর ছোট ভাই মো. উজ্জ্বলের সঙ্গে বিয়ে দেন।
সম্প্রতি বাবার বাড়ি থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক আনার জন্য বাবু এবং উজ্জ্বলসহ তাদের পরিবারের লোকজন দুই বোনের ওপর নির্যাতন শুরু করে। এক পর্যায়ে ৫ জুন রাতে বাবু ও উজ্জ্বল তাদের পরিবারের অন্য লোকজনদের নিয়ে যৌতুকের দাবিতে উভয় বোনের ওপর নির্যাতন করে। এ সময় তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারাই আবার গুরুতর জখম অবস্থায় আহত দুই বোনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করলে বাবু ও উজ্জ্বলসহ পরিবারের লোকজন হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে যান। পরে সংবাদ পেয়ে ফাতেমার পরিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে ফাতেমার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে নিয়ে যান এবং আহত আসমাকে হোমনা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করেন।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, মামলা নেওয়ার পর মূল আসামি বাবু ও উজ্জ্বলসহ চারজনকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাদেরকে শনিবার কোর্টে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এমআরপি/এসআইএ