ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্পে বিরোধিতার কারণ নেই’

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্পে বিরোধিতার কারণ নেই’

ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্প নিয়ে কারও বিরোধিতা করার কোনো কারণ দেখছি না। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে পাঠানো হবে, তারা যদি সেখানে অস্বস্তিবোধ করে আবার ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রকল্প নিয়ে জাতিসংঘের বিরোধিতা প্রসঙ্গে রোববার (১১ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, একটি ট্রায়াল হচ্ছে। এটি বড় ধরনের কোনো প্রত্যাবাসন নয়। এটি যদি সফল না হয়, তাহলে আমরা তাদের ফেরত নিয়ে আসতে পারব। সেক্ষেত্রে এটির বিরুদ্ধে যাওয়ার কোনো যুক্তি দেখি না।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় যাচ্ছেন। এটি দেখার জন্য জাতিসংঘের সঙ্গে যে প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেটি বলবৎ আছে। তবে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার সার্টিফিকেট নিয়ে রোহিঙ্গাদের যেতে হবে, এ ধরনের কোনো চুক্তি করা হয়নি। কিন্তু আমাদের প্রচেষ্টা সম্পর্কে তাদের জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুসের বিবৃতি প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, তিনি মিয়ানমার-বিষয়ক র‌্যাপোর্টিয়ার। তার কার্যক্রম মিয়ানমারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। তিনি কক্সবাজার ঘুরে গেছেন। কিন্ত যে বিষয়গুলো তিনি বলেছেন এবং যে ভাষায় বলেছেন, এটি আমাদের প্রচেষ্টাকে খাটো এবং অসম্মান প্রকাশ করে। আমরা বিষয়টি জাতিসংঘকে জানাবো।

জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের চার রোহিঙ্গা পরিবারের খাবার সরবরাহ বন্ধ করার বিষয় দুঃখজনক হিসেবে অ্যাখ্যা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা রোহিঙ্গারা জাতিসংঘ থেকে খাবার পায়নি। আমি আশা করবো, জাতিসংঘের সদর দপ্তর এটি নজরে নেবে। পরবর্তীতে এ ধরনের দুঃখজনক ঘটনা যেন না ঘটে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মিয়ানমারের পরিস্থিতি বিষয়ক বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুস। গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) জেনেভা থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে টম অ্যান্ড্রুস বলেন, বাংলাদেশ ‘বিভ্রান্তিমূলক’ এবং ‘বলপ্রয়োগের’ মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে বাধ্য করছে।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত আরও বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়ক নয়। সিনিয়র জেনারেল মিন হং হ্লায়েং রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি এখন নিষ্ঠুর এক সামরিক শাসনযন্ত্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যারা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছেন এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও অন্যান্য মৌলিক অধিকারকে প্রত্যাখ্যান করে চলেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।