ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় আ.লীগ নেতা নিহত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায়  আ.লীগ নেতা নিহত আনারুল শেখ

বাগেরহাট: বাগেরহাটে ঘের সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আওয়ামী লীগের নেতা আনারুল শেখ (৫৫) নিহত হয়েছেন।  

শনিবার (১৭ জুন) বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে বৈটপুর এলাকায় ঘের থেকে ফেরার পথে পিরোজপুর-বাগেরহাট মহাসড়কের বাগেরহাট মেরিন ইনস্টিটিউটের সামনে দুর্বৃত্তদের হামলার স্বীকার হন তিনি। পরে অজ্ঞাতপরিচয় এক ভ্যানচালক আহত আনারুলকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

নিহত আনারুল শেখ বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি এলাকার মৃত আব্দুল গণি শেখের ছেলে। তিনি বাগেরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।

নিহতের ভাতিজা মুরাদ শেখ জানান, ছোট চাচা বাচ্চু শেখের সঙ্গে ঘের নিয়ে কালাম বয়াতী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিরোধ ছিল। এরই জেরে শনিবার সকালে কালামের আত্মীয় নাগেরবাজার এলাকার রশীদ হাওলাদারের ছেলে সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেল ও তার ভাই রাখা হাওলাদারের নেতৃত্বে ৭-৮ জন আমাদের বাড়িতে এসে ঘেরে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে যান। দুপুরের কিছু আগে বাচ্চু শেখ বৈটপুর এলাকায় থাকা ঘেরে গিয়ে দেখেন কালাম ঘের থেকে মাছ ধরছেন। কালামের কাছে মাছ ধরার কারণ জানতে চাইলে খারাপ ব্যবহার করেন এবং কালা সোহেলকে ফোন দিয়ে আসতে বলেন। অবস্থা খারাপ বুঝে বাচ্চু শেখ ঘের থেকে চলে আসেন এবং তার ভাই আনারুল শেখকে ফোন করে ঘেরে যেতে বলেন। আনারুল শেখ রিকশা নিয়ে ঘেরে যান। ঘেরে কাউকে না পেয়ে ফিরে আসতে থাকেন। পথে মেরিন ইনস্টিটিউটের সামনে কালা সোহেল, রাখা হাওলাদার ও গনেশসহ ৭-৮ জন আনারুল শেখকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে ফেলে রেখে যায়। সেখান থেকে এক ভ্যানচালক তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা খুমেক হাসপাতালে নিতে বলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে আনারুল শেখের মৃত্যু হয়।

আনারুল শেখের ছেলে জিসান শেখ বলেন, যারা আমার বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের কঠিন বিচার চাই।  

৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মাসুম শেখ বলেন, এভাবে নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। যারা এই হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

এসব ব্যাপারে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তদন্ত চলছে। হামলাকারীদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।