বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপালে মধ্যযুগীয় কায়দায় ইয়াছিন আরাফাত (১৪) নামের এক কিশোরকে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রাম পুলিশসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (২২ জুলাই) দুপুরে পাঁচজনকে আসামি করে রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই কিশোরের বাবা।
ইয়াছিন আরাফাত রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ইউনিয়নের মল্লিকেরবেড় গ্রামের অলিয়ার হাওলাদারের ছেলে।
আসামিরা হলেন- মল্লিকেরবেড় গ্রামের শহিদুল মাঝির ছেলে মাহমুদ ইসলাম (২৫), মৃত মোজাম্মেল হাওলাদারের ছেলে মো. কেরামত হাওলাদার (৫০) ও একই গ্রামের মৃত আ. রহমান খানের ছেলে গ্রাম পুলিশ মো. নাসিম খাঁন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে যে, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে ইয়াছিনকে প্রথমে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে অমানবিক ও নিষ্ঠুরভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ নাসিম খান তার সহযোগীদের নিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায়।
এ খবর জানতে পেরে বাদী তার ছেলেকে আসামিদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য রামপাল থানা পুলিশকে জানায়। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কিশোরকে উদ্ধার করে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
এদিকে, ওই কিশোরকে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, হাত-পা বেধে লাঠি ও পা দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি এক কিশোরকে নির্মমভাবে নির্যাতন করছে।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার কিশোরের বাবা ও মা বিচার দাবি করেন।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. আশরাফুল আলম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রাম পুলিশসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বাগেরহাট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২১ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২৩
এসএম