ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফিরোজ খান রাজের (২৬) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া গট্টি বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
ফিরোজ খান রাজ জানিয়েছেন, সালথা থেকে ফরিদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে এ অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল জবিউল্লাহের নেতৃত্বে এ অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে দাবি করেছেন তিনি।
ফিরোজ খান উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আগুলদিয়া গ্রামের মমরেজ খানের ছেলে।
এবং অভিযুক্ত ইসমাইল জবিউল্লাহ উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বড় বালিয়া গ্রামের মনি মোল্লার ছেলে।
ঘটনার বিষয়ে ফিরোজ খান রাজ বলেন, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রিয়ান ভাইয়ের কবুতরের জন্য ধান কিনতে শুক্রবার সন্ধ্যায় বালিয়া বাজারে গিয়েছিলাম। ইজিবাইকে ধান উঠানোর পরে ফ্লেক্সিলোডের দোকানে গিয়ে বিকাশ নম্বর থেকে টাকা বের করতে গেলে হঠাৎ পেছন থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল জবিউল্লাহসহ ১৫ থেকে ২০ জন আমার ওপর হামলা করে। এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, থাপ্পড় মারতে থাকেন তারা। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে প্রতিহত করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে এমপি মহোদয়ের নির্দেশে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা হবে বলে শুনেছি।
অভিযোগের ব্যাপারে সালথা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল জবিউল্লাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ইসমাইল জবিউল্লাহর বাবা মনি মোল্লা বলেন, আমার ছেলের এইচএসসি পরীক্ষার সময় ফিরোজ খান রাজ একটি অঘটন ঘটিয়েছিল। এজন্য এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে আমার ছেলে এ ঘটনায় জড়িত নয়।
এব্যাপারে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে দেখব। তবে এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তারা ছাত্রলীগের কেউ হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সালথা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সৈয়দ আওলাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২৩
এসএএইচ