ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে সহকর্মীকে হত্যা, আটক ১

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৩
পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে সহকর্মীকে হত্যা, আটক ১

নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে সহকর্মী অধীর চন্দ্র রায়কে (৬৫) হত্যার অভিযোগে মোরশেদুল (২০) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সকালে রংপুরের তারাগঞ্জের জদ্দিপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের পাকুরের তল এলাকায় ‘নমির উদ্দিন অটোরাইস মিলে’ এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত অধীর চন্দ্র রায় ওই এলাকার খালিসা ধুলিয়া মালিপাড়ার মৃত উপেন্দ্র চন্দ্র রায়ের ছেলে।

আটক মোরশেদুল রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ডাঙাপাড়ার কামালুর ছেলে।

জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ওই অটোরাইস মিলে শ্রমিক অধীর চন্দ্র রায়ের পায়ুপথে ইলেকট্রিক পাম্প মেশিন দিয়ে বাতাস ঢুকিয়ে দেন সহকর্মী মোরশেদুল। এতে অধীর চন্দ্র অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
  
এ ঘটনায় রাতেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিহতের পরিবারকে ম্যানেজ করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন মিল মালিক হাজী নমির উদ্দিন। যে কারণে কেউ অভিযোগ না করায় মরদেহ দাহ করার উদ্যোগও নেওয়া হয়। কিন্তু খবর পেয়ে পুলিশ গেলে মরদেহ আনতে বাধা দেন এলাকার মাতবরচক্র। প্রায় ২৫ ঘণ্টা দেন-দরবার শেষে মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়।

এ ঘটনায় মূলহোতা মোরশেদুলকে (২০) আটক করা হয়েছে। মোরশেদুল রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ডাঙাপাড়ার কামালুর ছেলে। তিনি মিল মালিক হাজী নমির উদ্দিনের প্রতিবেশী ও আত্মীয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতরা পলাতক রয়েছেন। মর্মান্তিক এমন ঘটনার পরও মিল চালু রাখাসহ জড়িতদের রক্ষার জন্য অপচেষ্টা চালান মিল মালিক। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও মিল মালিকের মধ্যে কোনো মর্মবেদনা নেই।

এ ব্যাপারে মিল মালিক হাজী নমির উদ্দিন বলেন, আমি মিলে ছিলাম না। তবে শুনেছি, পাম্প মেশিন নিয়ে গায়ে লাগা ধানের গুঁড়া ঝারার সময় দুষ্টুমি করে অধীর চন্দ্র রায়ের লুঙ্গির ভেতরে বাতাস দেন শ্রমিকরা। নিজেদের মধ্যে এ রকম ইয়ারকি প্রায়ই করে থাকেন শ্রমিকরা।  

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মরদেহ  উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের সহকর্মী মোরশেদুলকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। আদালতের মাধ্যমে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) মোরশেদুলকে  জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।