ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান দখল, আটক ৪

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান দখল, আটক ৪

বাগেরহাট: আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওষুধের দোকান দখল ও লুটপাটের অভিযোগে বাগেরহাটে নারীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি বাজারের জিয়া মেডিকেল হল ও জুলু অ্যান্ড কোং ফার্মেসি দখল ও মালামাল লুটের অভিযোগে ওই ওষুধের দোকান থেকে তাদের আটক করা হয়।

এদিকে, দৈবজ্ঞহাটি বাজার ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বেলা ১১টার দিকে জিয়া মেডিক্যাল হল ও জুলু অ্যান্ড কোং ফার্মেসি জোরপূর্বক দখল, লুটপাটের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করে।

জিয়া মেডিক্যাল হলের স্বত্বাধিকারী জিয়াউল হক ও তার ভাই জুলু অ্যান্ড কোং ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী জুলফিকার সরদার বলেন, পাকিস্তান আমল থেকে আমাদের দাদা আব্দুল কাদের সরদার এই জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। আমার বাবা আমজাদ আলী সরদারও এ জমি ভোগ দখল করেছেন। ১৯৯০ সাল থেকে আমরা এই জায়গায় ব্যবসা করছি। কিন্তু হঠাৎ করে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কবির হোসেন আমাদের দোকান দখলের চেষ্টা করেন। জোরপূর্বক দখল করতে না পেরে আদালতে জমির মলিকানা দাবি করে মামলা করেন তারা। একই বছর ২৯ নভেম্বর আদালতে ন্যায় বিচারের স্বার্থে ওই জমিতে যারা ভোগ দখলে আছেন তারা ভোগ দখল করবেন বলে আদেশ দেন। তারপর থেকে কিছুদিন তারা থেমে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে শুক্রবার ভোরে তারা ২০ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল আমাদের দোকানের সামনে টিন দিয়ে বেরিকেড সৃষ্টি করে। দোকান লুট করে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ওষুধ নিয়ে যায়। আমরা পুলিশকে জানালে কবির হোসেনসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ। আমরা ন্যায় বিচার চাই।

দৈবজ্ঞহাটি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি দিদার আকরাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ করে এভাবে কারও দোকান লুট কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমরা ব্যবসায়ীরা এর প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখেছি। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বাজার কমিটির সভাপতি পারুল আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জিয়াউল হক ও তার ভাই জুলফিকার সরদার এই বাজারে ওষুধের ব্যবসা করে আসছেন। এনিয়ে আগে একবার স্থানীয়ভাবে শালিস করা হয়েছে, কিন্তু আদালতে মামলা থাকার কারণে বিষয়টি মীমাংসা সম্ভব হয়নি। হঠাৎ করে আজকে এই দখলের চেষ্টা ও লুটপাটের ঘটনা দুঃখজনক। পুলিশ প্রশাসন তাদের আটক করায় আমি সাধুবাদ জানাই। আদালত পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, দৈবজ্ঞহাটি বাজারে দুটি দোকানে লুটপাটের ঘটনায় আমরা চারজনকে আটক করেছি। আটকদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।