রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে তারা এ সাক্ষাৎ করেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।
বিশেষ করে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ঐতিহাসিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতা করে ভারত। বর্তমানে দু’দেশের সম্পর্ক রয়েছে অনন্য উচ্চতায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংলাপের মাধ্যমে দু’দেশের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানে খুবই আন্তরিক।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতি আজও বাংলাদেশে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা হচ্ছে – ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’। বঙ্গবন্ধুর এ নীতি অনুসরণ করেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করেছেন।
স্পিকার বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলছে এবং রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে আঞ্চলিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি এ সময় উল্লেখ করেন।
কেনেথ জাস্টার বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় তিনি আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে পারস্পারিক শ্রদ্ধা, ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ও সম্পর্কন্নোয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কেনেথ জাস্টার জাতীয় সংসদ ভবন ঘুরে দেখেন এবং এর নান্দনিক নকশার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্টের রাষ্ট্রদুত আর্ল রবার্ট মিলারসহ সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
এসকে/আরআইএস/