সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টার দিকে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন । তিনি স্বামী, এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের দেবর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিরাজগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার গাজী আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাফিনা লোহানী নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাদ যোহর শহরের মালশাপাড়া কবরস্থানে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
সাফিনা লোহানীর ডাক না ছিল বেবি লোহানী। তিনি ১৯৫৩ সালে ১ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ শহরে ঐতিহ্যবাহী লোহানী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সাল থেকে ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় দুই মাসের সন্তান কোলে নিয়েও স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছিলেন। জীবনবাজি রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ড. নীলিমা ইব্রাহীমের নেতৃত্বে নারী পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত শতাধিক নারীর পুনর্বাসন করেছেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। তিনি বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ মহিলা সংস্থার পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তার স্বামী মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম চৌধুরী দীর্ঘদিন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার উত্তরাঞ্চলের ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এমআরএ