সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. শওকাতুল মোনায়েমের নেতৃত্বে পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ডালিম মিয়া সদর উপজেলার রাজার গাঁওয়ের বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও নগরের শামিমাবাদ এলাকার সেলিম মিয়ার কলোনীর ভাড়াটিয়া বাসিন্দা।
অভিযানে অংশ নেওয়া র্যাব-৯ এর সহকারী পরিচালক ( এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের ৭ নভেম্বর নগরের কাস্টঘর সুইপার কলোনীর ছাদে লক্ষীপুর জেলার দত্তপাড়া গ্রামের ইসমাইল আলীর ছেলে সেলিম মিয়াকে (৩০) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭ টায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
পরে নিহতের পিতা বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ডালিমকে প্রধান এবং রাজীবকে ৫ নম্বর আসামি করা হয়।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর ডালিম ছদ্দবেশে পালিয়ে বেড়াতো। অবশেষে র্যাবের বিশেষ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে আসামি রাজুকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতারের পর তারা উভয়ে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। খুনের ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল না। জুয়া খেলা নিয়ে তাৎক্ষণিক উত্তেজনার এক পর্যায়ে তারা খুনের ঘটনাটি ঘটায়।
নিহত সেলিমের বাবা ইসমাইল আলী র্যাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, খুনিরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়। এটাই একমাত্র চাওয়া।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার আসামি ডালিম মিয়া ও রাজুকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
এনইউ/এমআরএ