বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে এ স্ক্যান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
একই সঙ্গে ভারতীয় ট্রাকচালক ও তাদের সহকারীদেরও (হেলপার) এ পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে।
সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন সেন্টারে কর্মরত ডা. ফাহাদ আকিদ রেহমান বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৬৩ জন ট্রাকচালক ও তাদের সহকারী এবং পাসর্পোটধারী যাত্রীদের স্ক্যান করা হয়েছে। তবে কোনো যাত্রীর দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা এক যাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, মালদা থেকে বাংলাদেশে ঢোকার সময় ভারতের মোহদীপুর স্থলবন্দরে করোনা ভাইরাস শনাক্তে কোনো মেডিক্যাল টিম দেখিনি। তবে সোনামসজিদ বন্দরে অধ্যাধুনিক পদ্ধতিতে ভাইরাসটি শনাক্তকরণের উদ্যোগ নেওয়ায় আমি বেশ খুশি।
অন্যদিকে সোনামসজিদ সিঅ্যান্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, আগে ভারতীয় ট্রাকচালক ও তাদের সহকারীদের এ পরীক্ষার আওতায় না আনা হলেও বৃহস্পতিবার থেকে সবাইকে ভাইরাস শনাক্তকরণ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে।
অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব বন্দর দিয়ে যাত্রী যাতায়াত করবে, শুধু সেসব বন্দরে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণে মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। সে অনুযায়ী সোনামসজিদ বন্দরে আগে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে এবং বর্তমানে থার্মাল স্ক্যানার পাওয়ার পর এটির সাহায্যে বন্দরটি দিয়ে যাতাযাতকারী সবাইকে স্ক্যান করা হচ্ছে।
চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব দেখার পর সোনামসজিদ বন্দরে শুধু পাসর্পোটধারী যাত্রীদের ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভাইরাস শনাক্তকরণ কার্যক্রম চালুর পর বৃহস্পতিবার থেকে থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে যাত্রীসহ বন্দর ব্যবহারকারী সবাইকে এ স্ক্যানের আওতায় আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এসআরএস